ডাবল ১২০০ সিঙ্গেল ১০০০

নতুন প্রস্তাবে গৃহস্থালী পর্যায়ে ডাবল বার্নার চুলায় গ্যাসের দাম ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। আর এক বার্নারে ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একই অর্থবছরের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর এটি দ্বিতীয় উদ্যোগ।
 
গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, গ্যাসে বড় অংকের ভর্তুকি দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিটা আমরা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, গ্যাসের অবস্থা সেটা পূরণে কস্টলি গ্যাস এলএনজি আসছে। এলএনজি আনতে বাড়তি কস্ট এর মধ্যে ইনভলভ হচ্ছে। মোস্টলি শিল্প ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে হবে। হাউজহোল্ডে খুবই কম। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বেশ কয়েকবার বসা হয়েছে। তারা খুবই পজিটিভ। তারা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চায়।
 
এখন সঞ্চালন কোম্পানি ও বিতরণ কোম্পানি দুই পক্ষই তাদের কাজের মূল্য হার বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছে।
 
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানী উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলছেন, একবার মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাসের মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব আইনত অবৈধ।

তিনি বলছেন, প্রত্যেকের কাজের যে মূল্য হার গত বছরের অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখে নির্ধারিত হয়ে গেছে। কয়মাসের ব্যবধানে আবার তারা তাদের কাজের মূল্য হার বৃদ্ধির প্রস্তাব করছে। এখন আসছে সঞ্চালন কোম্পানি। কাল আসবে বিতরণ কোম্পানি তিতাস। তাদের সবার ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য, এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ আইনে এক বছরের মধ্যে দুইবার মূল্য হার বা সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধি করা যাবে না।

তিনি বলছেন, গত বছর অক্টোবর মাসে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে তা কার্যকর হয়নি। সেই বাড়তি দাম সরকার দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ঠিক নির্বাচনের আগে গ্যাসের দাম বাড়ানো উচিত হবে কিনা, সেকথা মাথায় রেখে তখন এটি করা হয়েছিল।

গত দশ বছর আগেও দুই বার্নার চুলায় ভোক্তাকে ৩০০ টাকার মতো দিতে হতো। এখন সেটি ৮০০ টাকা।

নিউজওয়ান২৪/আ.রাফি