ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৪ মে ২০১৬   আপডেট: ১৪:৩৩, ২০ মে ২০১৬

ঢাকা: তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো বাংলাদেশ ও কুয়েতের মাঝে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তির ক্ষেত্রগুলি হচ্ছে বাণিজ্য, সামরিক ও ঋণ সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে লেবুখালী সেতু নির্মাণ ঋণ চুক্তি।

রাজধানীর পুরনো বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়।

চার চুক্তির প্রথমেই স্বাক্ষরিত হয় বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি। বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং কুয়েতের পক্ষে সেদেশের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ড. বদর আহমদ আল ইসা ‘দি অ্যাগ্রিমেন্ট ফর দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রিসিপ্রোকাল প্রটেকশন অব ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তিটি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের একটি নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে।

চুক্তি সইয়ের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ আল-সাবাহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা করতে দুই দেশের সরকারে মতৈক্য হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এক্সট্রিম ভায়োলেন্স ও টেররিজম মোকাবেলায় দুই দেশের স্ট্র্যাটেজির প্রচুর মিল আছে বিধায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে কাজ করতে একমত হয়েছেন।
চারটি চুক্তির মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে লেবুখালী সেতু নির্মাণ ঋণচুক্তি প্রসঙ্গ তুলে পররাষ্ট্রসচিব জানান, এই সেতুটি নির্মাণ হলে দেশের দক্ষিণের এই দুই জেলার সড়ক পথে ফেরি পারাপারের আর কোনো ঝামেলা থাকবে না।

লেবুখালীতে পায়রা নদীর উপর চার লেইনের এই সেতুটি হয়ে গেলে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় যাওয়া অনেক সহজ হবে। চুক্তি মোতাবেক সেতুটি নির্মাণে দেড় কোটি দিনার (৫ কোটি ডলার) ঋণ দেবে কুয়েত সরকার।

সেতু নির্মাণ ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম এবং কুয়েতের পক্ষে কুয়েত ফান্ডের মহাপরিচালক আবদুল ওয়াহাব আল-বদর।

প্রসঙ্গত, এটি লেবুখালী সেতু নির্মাণে দ্বিতীয় ঋণচুক্তি। এই প্রকল্পে ১ কোটি ৪০ লাখ দিনার (৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার) ঋণ পেতে ২০১২ সালে কুয়েতের সঙ্গে প্রথম ঋণচুক্তিটি হয়েছিল। বাসস জানায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের কাছে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পটির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সে মোতাবেক এই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে ইআরডি এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে।

বিনিয়োগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। কুয়েতের পক্ষে সই করেন দেশটির উচ্চশিক্ষাবিষয়কমন্ত্রী বদর হামাদ আল-ইসা।

দুই দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইস্যু সহজিকরণ চুক্তিটিতে সই করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান ও কুয়েতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী খালেদ সুলাইমান আল জারাল্লাহ।

সামরিক ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সাক্ষর করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান আর কুয়েতের পক্ষে করেন সেদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী খালেদ সুলাইমান আল জারাল্লাহ।

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ৫টি দেশ সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছান কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী।


নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত