সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে হঠাৎ দুদকের অভিযান

ঠিকাদারদের বিল নিয়ে ঘুষের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও বনানীস্থ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ) সারোয়ার মাহমুদ এর  নির্দেশে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ কালাম। 

এ সময় তার সঙ্গে উপসহকারী পরিচালক সোমা হোড়সহ তিন সদস্যের একটি দল ছিল।

দুদক সূত্র জানায়, কমিশনের অভিযান কেন্দ্রের হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ আসে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ঠিকাদারি বিল নিয়ে গেলে ঘুষ ছাড়া পাস করা হয় না এবং ঘুষ ব্যতীত বিল উত্থাপন করলে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে অভিযান চালায় দুদক বিশেষ দলের সদস্যরা।

অভিযোগের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান জানান, ‘সম্প্রতি বিল পরিশোধের সফটওয়্যার এর আপগ্রেডেশন কার্যক্রম চলমান থাকায় বিল পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে।’

এ সময়ে দুদক দলের সদস্যরা গত ৫ বছরে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্পাদিত বিভাগীয় তদন্ত কার্যক্রমের ফলে গৃহীত ব্যবস্থাদি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

তারা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বনানীস্থ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিল পরিশোধের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখেন এবং বিল পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার কারণ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও দ্রুত বিল পরিশোধের তাগিদ দেন।

অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘ঠিকাদারি বিল বা অন্য যে কোনো বিল পরিশোধে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আবশ্যক। এক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তা যদি ঘুষ বা উৎকোচ দাবি করেন এবং ভুক্তভোগীরা ঘুষ দেয়ার আগেই যদি দুদকে অভিযোগ জানায়, তাহলে ঘুষ গ্রহণকারীদের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসার ম্যান্ডেট দুদকের রয়েছে।’

এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

নিউজওয়ান২৪/টিআর