বিভিন্ন কার্যক্রমের পালিত হলো মেয়র হানিফের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১২তম মৃত্যুবাষির্কী। এ উপলক্ষে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদ মেয়র হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে মরহুমের কবর জিয়ারত, তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণসভার আয়োজন, আলোকচিত্র  প্রদর্শনী, ক্রোড়পত্র প্রকাশ  ইত্যাদি কার্যক্রম পালনের মধ্য দিয়ে প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফকে স্মরণ করা হয়েছে।

সকালে আজিমপুর কবরস্হানে এসব অনুষ্ঠানে মেয়র সাঈদ খোকন ছাড়াও এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি হাজী সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলরগন, ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। আজিমপুর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং নগর ভবন প্রাঙ্গনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী আলাদা শোক বাণী দিয়েছেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের একমাত্র ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার বাবার রুহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

একই সাথে আজ ২৮ নভেম্বর বুধবার থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী বিনামূল্যে ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা দেওয়া কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

মেয়র হানিফ স্মরণসভায় বক্তারা তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করে বলেন, তাঁর মত বহু গুনে গুনান্বীত রাজনীতিক বিরল। তার এসব অনুকরণীয় অবদান সবাই চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে বিকেলে স্মরণ সভার আয়োজন করে। 

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলার আক্রমণ থেকে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষার্থে মেয়র হানিফ মানব ঢাল রচনা করেন। এর ফলে অসংখ্য স্প্লিন্টারের আঘাতে তিনি মারাত্বকভাবে আহত হন এবং পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিউজওয়ান২৪/এএস