আসছে কনকনে শীত, ভাঙবে রেকর্ড

উত্তরের হাওয়ায় শীতের আগমনী আসতে শুরু করেছে। হেমন্তের শিশির বিন্দুতে সাদা কাশফুলের রঙও এখন বিবর্ণ হয়ে আসছে। শিরশিরে অনুভব উত্তুরে বাতাসে। হাওয়ায় কমছে জলীয় বাষ্প আর বাড়ছে আর্দ্রতা। হিমহিম কনকনে ঠাণ্ডার অনুভূতি মানেই শীত। 

শরৎ বিদায় নিয়েছে সদ্যই সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে। গ্রামীণ জনপদে এখন হিম হিম আমেজ। সাঁঝ-প্রভাতে দৃষ্টিসীমা হরন করছে কুয়াশার চাদর। গায়ে কাঁথা চাপাতে হচ্ছে শেষ রাতে।

এবার উত্তরের জনপদে খানিকটা আগেই শীত এসেছে। সন্ধ্যার পরপরই কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বন্দী হয়ে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদ। সারাদেশেই তাপমাত্রা কমছে।

গতকাল শ্রীমঙ্গলে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি আসা এবং সন্ধ্যায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার উত্তরাঞ্চলে শীত এসে গেছে দুই মাস আগেই।

পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান আবহাওয়ায় পরিবর্তন না এলে এবার শীতের তীব্রতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। প্রচণ্ড শীত পড়বে দেশে। গত বছরের ৮ জানুয়ারি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল তাপমাত্রা। এবার সেটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

প্রকৃতি জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে খেয়ালি হয়ে উঠেছে। এই অবস্থা বিপদজনক। ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসোর্স ইনস্টিটিউট-ইরি বাংলাদেশের কনসালট্যান্ট ড. এমজি নিয়োগী জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এবার আড়াই মাস আগেই শীত এসেছে উত্তরাঞ্চলে। শীতের তীব্রতা বাড়বে বহুগুণ। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতেও পারে।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আলী জানান, এবার আবহাওয়ার মতিগতি ভালো নয়। বেশিমাত্রায় খেয়ালী। ষড়ঋতু আর কোন অনুশাসন মেনে চলছে না। এবার উত্তরাঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি আসা শুরু করে আশ্বিন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই।

ফলে আগে থেকেই শীত ও কুয়াশাও পড়া শুরু হয়েছে। শীত অনুভবের পাশাপাশি আগাম কুয়াশা পড়াও শুরু হয়েছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমাগত কমার কারণে।

নিউজওয়ান২৪/এএস