ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

এমপি শামীম ওসমান বিষয়টি শেষপর্যন্ত বিস্মৃত না হলেই ভাল!

আহ্‌সান কবীর

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২৩ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ১৯:৩৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নাসিক মেয়র প্রার্থী আইভী ও এমপি শামীম ওসমান        -ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নাসিক মেয়র প্রার্থী আইভী ও এমপি শামীম ওসমান -ফাইল ফটো

মঙ্গলবার গণভবনে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এমপি শামীম ওসমান।

সবাই জানেন, ২২ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীটা হচ্ছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। নারায়ণগঞ্জের অতীত এবং বর্তমান বাস্তবতায় একেএম শামীম ওসমান এমপি আর মেয়র আইভীর মিত্রতাকে ধরা হয় তেল আর জলে মিশে যাওয়ার মতোই অলীক অবাস্তব হিসেবে। আর তাই শামীম ওসমানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ রাখছেন মনে।

একটা সময়ে চিত্রনায়িকা কবরী এমপির সঙ্গে শামিম ওসমানদের ঝগড়া, হুমকি-ধামকির ভিডিও ফুটেজ মুখরোচক আলোচনার জন্ম দিত। পরবর্তীতে কেমন করে যেন সেই বহুল আলোচিত শামীম-কবরী দ্বৈরথ শামীম-আইভীতে রূপ লাভ করে।

নারায়ণঞ্জের এই দুই আলোচিত নেতার পরস্পরের রেষারেষি বৈঠকখানা ছেড়ে সভাসমিতি হয়ে রীতিমতো টিভি টকশোতে খিস্তি-খেউর এবং পরস্পরের চরিত্র হনন চেষ্টা পর্যন্ত গিয়েছে। শামীম ওসমান পক্ষ মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্যসহ ব্যানার টানিয়ে ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতির তৈরি করেছিল যা পত্রিকায় শিরোনাম হয়।

আইভীও ছেড়ে কথা বলেননি শামীমকে। বহুল আলোচিত ত্বকি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি সরাসরি শামীমকে দোষারোপ করেছেন।

তাই, নারায়ণগঞ্জবাসীকে যদি বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে পরস্পরবিরোধী দুই প্রার্থী ট্রাম্প আর হিলারি একজন আরেকজনের প্রাণের বন্ধু হয়ে গেছেন- তারা এটা হয়তো বিশ্বাস করতে পারে, কিন্তু শামীম-আইভী একসঙ্গে কাজ করছেন, এমন বচন তাদের জন্য বিশ্বাস করা কঠিনস্য কঠিন বলা যায়।

তবে এই অবাস্তবটাকেও যখন বাস্তব করার উদ্যোগ নেন স্বয়ং দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তখন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। কারণ, এক-এগার পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতাদের কাউকে কাউকে যেভাবে ‘সিধা আলিফ’ বানিয়েছেন- তা সবাই জানে। তিনি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনের মতো বিশাল জনপ্রিয় নেতার অবাধ্যতাকেও কী কৌশলে শেকল পড়িয়েছেন তা অভিজ্ঞমহল ভাল জানেন।

তাই, মঙ্গলবার রাতে শামীম ও আইভীকে গণভবনে ডাকার পর দৃশ্যতই তারা দুজনে ছিলেন কিঞ্চিৎ ভীত। কারণ তাদের তুলনা বিশাল মহীরুহ অনেক হাতি-ঘোড়াও দলীয় সভাপতির সামনে হাবুডুবু খেয়েছেন- এই সত্য তারা দুজনেই জানেন।

এমন আবহে শেখ হাসিনা তাদেরও স্বভাবসুলভ কৌশলী কায়দায় ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করেন বলে জানা গেছে। তবে মাঝে মধ্যেই দুজনেই সীমা ছাড়িয়ে যেতে চেয়েছেন- পরক্ষণেই নিজেরাই নিজেদের রাশ টেনে ধরেছেন- এর সমান্তরালে সভাপতি শেখ হাসিনাও কৌশলে তাদের শাসন করেছেন, ধমকের সুরে কখনো হয়ে উঠেছেন কঠোর, দিয়েছেন চূড়ান্ত নির্দেশ। এখানে মঙ্গলবার রাতে গণভবনে শামীম-আইভীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

আরও পড়ুন আমি এবারও নামবো একা: আইভী

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে শুরুতেই প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ এমপি শামীম ওসমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে মেয়র প্রার্থী আইভীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সিরিজ উত্থাপন করেন।

শামীমের সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ আনেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের নেতারাও। তারা যেন মুখিয়ে ছিলেন শেখ হাসিনার সামনে আইভীকে একহাত নেওয়ার জন্য। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ও আইভীর যুক্তি খণ্ডনের মধ্য দিয়ে পার হতে থাকে সময়।

এরই সমান্তরালে দলীয় সভাপতি চেষ্টা চালাতে থাকেন নাসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগের ভেতরে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে।

গণভবনে উপস্থিত সূত্র মতে, সভায় একপর্যায়ে আইভী-শামীম দুজনই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এসময় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে শামীম ওসমান অভিযোগ করে বলেন, নেত্রী, আইভী আপনার বিরুদ্ধে, আমার বিরুদ্ধে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাকে মনোনয়ন দেওয়া এবং তার পক্ষে নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী কাজে নামানো কঠিন হয়ে পড়বে।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিরুদ্ধে কথা বললে সেটা আমি দেখবো। তাছাড়া, আইভী আমার বিরুদ্ধে, তোমার বিরুদ্ধে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কথা বলে- এসব আমি এই মুহূর্তে শুনতে চাই না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আইভীকে মনোনয়ন দিয়েছে। আইভীর পক্ষে তোমাদের কাজ করতে হবে। এর বাইরে আর কোনো কথা আমি শুনবো না।

আরও পড়ুন ৫বছর আগের না পাওয়া মনোনয়ন এবার পেলেন আইভী, সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি

আইভী-শামীমের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের জোয়ার-ভাটার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাদা ছোড়াছোড়ি বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করো।

তিনি আরও বলেন, ফুটবল খেলায় গোল দিতে স্ট্রাইকার লাগে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখন স্ট্রাইকার আইভী, আমি খোঁজ নিয়েছি।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করাই ছিল এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, বৈঠকে শামীম ওসমান শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আইভী আপনার বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এবং আমি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই বলে। শামীম ওসমানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আইভীর নামে বিষোদগার করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনও। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবে- এটাই আমি চাই।

একটা পর্যায়ে শেখ হাসিনা বারবার মেয়র প্রার্থী আইভীর পক্ষে অবস্থান নিলে আনোয়ার হোসেন হতাশ কণ্ঠে বলে ওঠেন, নেত্রী, আমি আর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে চাই না। আমি পদত্যাগ করতে চাই। আমাকে অনুমতি দিন। আমি বিদায় নিতে চাই।

জবাবে শান্ত স্বরে শেখ হাসিনা বলেন, রিজাইন লেটার দাও। বিদায় দিয়ে দেবো।

সূত্র জানায়, শামীম ওসমানসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা আইভীর বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে উসকে দেওয়ার জন্য বলেন, আপা, আইভী আপনার বিরুদ্ধে পর্যন্ত কথা বলে!

এর প্রতিক্রিয়ায় আইভী কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, নেত্রী, আমি আপনার বিরুদ্ধে কখনো কোনো কথা বলিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

আরও পড়ুন যে কারণে তৈমুরকে রাজি করাতে পারেননি খালেদা!

আইভী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি শ্রমিক সমবেশের বক্তব্যে আমি বলেছি, জয়বাংলা শুধু আওয়ামী লীগের শ্লোগান নয়। জয়বাংলা বাঙালির শ্লোগান। আমি বলেছি, শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগকে কুক্ষিগত করতে চায়।

এসময় আইভীকে সমর্থন করে শেখ হাসিনা বলেন, সত্যিই তো! জয়বাংলা শুধু আওয়ামী লীগের শ্লোগান নয়, বাঙালির শ্লোগান। আমিও তো এটা বলি।

আইভী বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যার প্রতিবাদ করেছি। আমি তখন শামীম ওসমানের পক্ষ নেইনি, এটাই আমার অপরাধ।

এসময় আইভীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আওয়অমী লীগের একের পর এক নেতা অভিযোগ আনতে থাকলে তিনি হাল ছেড়ে দেওয়ার কায়দায় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ঠিক আছে আপা, মনোনয়ন আনোয়ার ভাইকে দেন। আমি নির্বাচন করবো না।

বৈঠক সূত্র আরও জানায়, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন আইভীর পক্ষে কাজ করতে সবাইকে নির্দেশ দেন, তখন শামীম ওসমানসহ বৈঠকে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জের সব নেতাকর্মী নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

তবে শামীম ওসমানপন্থি এসব নেতাকর্মী এর সঙ্গে শর্ত জুড়ে দেন। তারা আইভীকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন।

এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আগে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনো। তারপর সব হবে।

এবার শামীম ওসমানসহ অনুসারীরা বলেন, আপা আমি ও আমরা আপনার ছায়াতলে থাকতে চাই।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে আইভীকে বিজয়ী করে আনো, তখন ছায়াতলে থাকবা।

এরপর আইভী ও শামীমসহ গণভবনে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জের সকল নেতাকে একে অপরের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাও কাজ করো। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে কাজ করলে আইভীই জিতবে। নৌকা জিতবে। এরপর নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা নেতাকর্মীদের সবাই একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। শেখ হাসিনা তা প্রত্যক্ষ করেন।

শামীম না চা্যইলেও যেসব কারণে জিতে যাবেন আইভী

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণগঞ্জের একজন বিশ্লেষক নিউজওয়ান২৪.কমকে জানান- গত নির্বাচনে আইভী স্বতন্ত্র হয়েই আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীমকে এক লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছেন (যদিও এমন ফলের পেছনে শেষমুহূর্তে বিএনপি প্রার্থী তৈমুরের সরে যাওয়াটা বড় ভূমিকা রেখেছে)। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন আইভী। এর বিপক্ষে বিএনপি নামিয়েছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াতকে যিনি এক সময়ে দলের বিরদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। এছাড়া এবার জামায়াতের ভোটাররা ভোটদানে বিরত থাকবে- এমনটাই ধারণা করা যায়। এসবের বাইরে বিএনপি-জামায়াতেও ব্যক্তি আইভীর প্রচুর সমর্থক রয়েছে। এসবের যোগফল আইভীর পক্ষেই যাবে।

আরও পড়ুন যে ৫ কারণে মুখ থুবড়ে পড়লো আইভী বিরোধী সব কৌশল

তিনি দাবি করেন, এমন পটভূমিতে আইভীর মাঠ পুরো পরিষ্কার। আইভী প্রচুর কাজ করেছেন গত ৫ বছরে। মহানগরবাসী তাকে পছন্দ করে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টও তার পক্ষে- এটা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও ফুটে উঠেছে। সুতরাং, এবারও আইভীর জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যারা এখন শামীম ভাইকে ঘিরে আছেন, তাদের অনেকেও চান, নারায়ণগঞ্জে এমপি থাকুন শামীম ওসমান আর সেলিম ওসমান দুই ভাই কিন্তু মেয়র যেন আইভী-ই থাকেন।

কারণ, দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শামীম ওসমানের একচ্ছত্র আধিপত্য পরোক্ষে তাদের জন্যও অসুবিধার সৃষ্টি করবে। জেলায় রাজনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্যটা জরুরি। তাই, তারা আইভীর পক্ষে কাজ করবেন। এই সত্যটা শামীম ওসমানও ঠোহর করতে পারছেন।

আর সব কথার শেষ কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী তথা দলের প্রধান যখন বলছেন আইভীর পক্ষে- তখন এর অন্যথা করে এমন দুঃসাহস এখন পর্যন্ত কারও নেই। কারণ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তার পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো সর্বংসহা নন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একবার বলেছিলেন, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা আর শেখ হাসিনা ছুঁলে ছত্রিশ ঘা! কথাটি সুরঞ্জিত বাবু বলেছিলেন বিরোধী দলকে, অনেকটা হুমকির সুরে। তবে এই কথাটা পরে সুরঞ্জিত এবং দলের অন্যান্য অনেকের জন্যও একইরকম সত্য প্রমাণিত হয়েছে। মঙ্বিগলবারের মিটিং পর্যষালোচনায় দেখা গেছে, বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের নেতারাও জানেন বলে মনে হচ্ছে। 

তবে বিশেষ করে এমপি শামীম ওসমান বিষয়টি শেষপর্যন্ত বিস্মৃত না হলেই ভাল।

নিউজয়ান২৪.কম/এমএস/এসএ

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত