ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

মুনিয়া: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে ওইদিন রাতে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বোন নুসরাত জাহান। তবে অভিযুক্ত আনভীরকে এখনো গ্রেপ্তার না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মৃতের বড় বোন।

গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে শিক্ষার্থীর বড় বোন নুসরাত জাহান বলেছেন, আনভীরের সঙ্গে তার বোনের ‘সম্পর্ক’ ছিল।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছে। আনভীর যে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন, সেই প্রমাণও পেয়েছে। কিন্তু, তাকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি তারা।’

এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ডেপুটি কমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, কলেজশিক্ষার্থী তার ডায়েরিতে তাদের সম্পর্ক, সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতিতে বাধা, অভিযুক্তের সঙ্গে তার সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রত্যাশা ও অভিযুক্তের পরিবারের বাধার বিষয়ে লিখে গেছেন। ডায়েরিগুলোতে তার চরম হতাশার বর্ণনা রয়েছে এবং এগুলো মামলাটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সব প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।’

গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানায় বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরাম (এইচআরএফবি)।

বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিয়ে জনমনে সংশয় ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ২০টি মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত এই ফোরামের আশঙ্কা, অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলার তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নানা পর্যায়ে প্রভাব খাটিয়ে আইন ও বিচার ব্যবস্থার ফাঁকফোকর গলে অপরাধীরা পার পেয়ে যান। এই মামলার পরিণতি সেদিকে যাওয়া উচিত নয়।

এতে বলা হয়, ‘আনভীরের দেশত্যাগের কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এতে ন্যায়বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ আরো বাড়ছে।’

শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় এইচআরএফবি।

এছাড়া, একজন অভিজ্ঞ, দক্ষ, সৎ ও নিরপেক্ষ পুলিশ কর্মকর্তার ওপর এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয় ফোরামের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এইচআরএফবি গণমাধ্যমকেও আইন মেনে ও মানদণ্ড বজায় রেখে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানায়।

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত