ঢাকা, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

স্কুলে বিষয় ভিত্তিক বিভাজন না করার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অভিমত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ছবি: সংগৃহীত


বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম শ্রেণি থেকেই বিষয় ভিত্তিক বিভাজন (বিজ্ঞান-কলা-বাণিজ্য) তুলে দেয়ার বিষয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, এটা না থাকাই ভালো। এসএসসি’র পরে গিয়ে যদি বিভক্ত হয়, সেটাই ভালো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবই পড়ুক তারপর যেখানে সে মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে সেটা করে নেবে। তাহলে অন্তত তাদের (শিক্ষার্থীদের) মেধা বিকাশের একটা সুযোগ হয়।

প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে এজন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এখন সব সাবজেক্টই বিজ্ঞান ভিত্তিক। সেটা ধীরে ধীরে চলেই এসেছে। বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।-বাসস

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সর্বোচ্চ নম্বর /সিজিপিএ প্রাপ্তদের হাতে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ তুলে দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে স্বর্ণপদক বিতরণ করেন। যাদের মধ্যে ৮৪ জন ছাত্র এবং ছাত্রী রয়েছে ৮৮ জন। ২০১৭ সালে ১৬৩ জন শিক্ষাথী প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের (দেশে) ক্লাস নাইন থেকে কে কোন সাবজেক্টে যাবে সেটা ভাগ করে দেয়া হয়। আমার মনে হয়, এই ভাগটা থাকার কোনো দরকারই নেই। কারণ এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত সব সাবজেক্টই তারা পড়তে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই এমনটা নেই। কারণ বিজ্ঞান না পড়ার ফলে অনেক বিষয়েই শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। আর আমাদের দেশে ১৯৬৩ সালে আইয়ুব খান (পাকিস্তান আমলে) সরকারের সময় এটা করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ টেকনোলজি’র শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের শারমিন সুলতানা অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সচিব, জাতীয় অধ্যাপক, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যানগণ, বর্তমান এবং সাবেক ইউজিসি সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য এবং শিক্ষবিদগণ, পিএমও, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা আমরা বলছি। এখানেও আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে সেভাবে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে এবং সেটা আরো বিকশিত হলে সেখানে আমাদের জনশক্তি লাগবেই।

আমাদের জনসংখ্যাকে যদি কারিগরি, বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে সেইভাবে দক্ষ করে গড়তে পারি তাহলে কোন সমস্যাতো কোনদিন হবেই না বরং অন্য দেশকে সাহায্য করতে পারবো- বলেন শেখ হাসিনা।

তার সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সেলক্ষ্যে একটি সমন্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেক্ষেত্রে আমরা কাউকেই অবহেলা করতে চাই না। যে কারণে, আমাদের মাদরাসা শিক্ষার সঙ্গে অনার্স কোর্স চালু এবং প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, কওমী মাদরাসাকেও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি এবং দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দিয়েছি। কারণ তাদেরকেও আমরা সমন্বিত শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। একই ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী ইউজিসিকে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোরও নির্দেশ দেন।

মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, দৈনন্দিন জীবনে কর্মক্ষেত্রে বা চাকরি পেতে যে শিক্ষার দরকার হয়, সে শিক্ষাটাও তারা (মাদরাসার শিক্ষার্থীরা) গ্রহণ করবে। সেখানেও মেধাবী শিক্ষার্থী আছে। তাদেরকে কেন অবহেলা করবো- প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।

একটি সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলায় তার সরকারের প্রচেষ্টার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে প্রত্যেক উপজেলায় কারিগরি স্কুল, কলেজ এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। 

তিনি বলেন, যার যেভাবে শিক্ষা গ্রহণ বা কর্মক্ষেত্রে কাজ করার দক্ষতা রয়েছে সে সেইভাবেই শিক্ষালাভ করতে পারবে। সে সুযোগটা সৃষ্টি করে দেয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে যেন আমাদের মঞ্জুরি কমিশন খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি নিয়োগ সংক্রান্ত একটা অভিন্ন নীতিমালা করা।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত ছাত্র-ছাত্রী থাকবে সেটা নির্দিষ্ট করে দেয়াটাও জরুরি- এমন অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যাতে মান সম্মত শিক্ষা দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আর এখন সেটা খুব কঠিন কাজ নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় করেছি সেগুলোর যেন ভালোভাবে নজরদারি করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এটাকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেবো।

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাস করে দেয়ায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ‘জবাবদিহিতা’ নিশ্চিত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে এটা ছিল না। যে যার মতো একখানা বিশ্ববিদ্যালয় করতো। এক বিল্ডিংয়েই দেখা যায় তিনটা বিশ্ববিদ্যালয়। আমার কাছে অবাক লাগতো সে সময়।
শিক্ষার সম্প্রসারণে তার সরকারের পদক্ষেপ সমূহের উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের কাছ থেকেও এ সম্পর্কিত মতামত প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, চিন্তা করে দেখেন- শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য এবং শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার জন্য আমাদের আর কি কি প্রয়োজন। যা প্রয়োজন, আমরা তাই করবো এবং সেটাই আমাদের নীতি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতার বক্তৃতার চুম্বক অংশ শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তুল ধরেন। জাতির পিতা বলেছেন, ‘আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার ব্যত্যয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হবে।’

কাজেই শিক্ষকদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে- জাতির পিতার এই কথাটা সবসময় মনে রাখবেন- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় ‘আজকালকার শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি মেধাবী’ এমন অভিমত ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদেরকে সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে। কারণ, বাংলাদেশকে আমরা যেভাবে গড়ে তোলার সুদূর পরিকল্পনা নিয়েছি তার যেন বাস্তবায়ন করে যেতে পারি।

সারাদেশের বিশ্ববিদালয় সমূহে প্রযুক্তি শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম তৈরি, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশেই আমরা ইন্টারনেট সার্ভিস দিচ্ছি, ব্রডব্যান্ড লাইন দিচ্ছি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উক্ষেপণ করেছি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর কাজ চলছে।

‘তথ্য যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাটা আধুনিক জগতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো আরো নতুন নতুন পদ্ধতি আসবে। কিন্তু যখনই যেটা আসবে তার জন্য আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সবসময় যেন প্রস্তুত থাকতে পারে সেভাবেই তাদের আমরা গড়ে তুলতে চাই।

সারাদেশে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মেরিন একাডেমির সঙ্গে মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় করেছে, ডিজিটাল, টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং বিশ্ববিদ্যালয়ও করেছে। একইসঙ্গে লালমনিরহাটে একটি অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ও করছে।

তিনি বলেন, তার সরকার প্রতিটি জেলাকে ভাগ করে, কোথায় কোনটা প্রতিষ্ঠা করা হবে তা ঠিক কের দিচ্ছে; যাতে কেবল রাজধানী কেন্দ্রিক উন্নয়ন না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার প্রসারকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। পড়াশোনার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশকে এগিয়ে নেয়াই এর উদ্দেশ্য বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনটা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি এবং প্রত্যেকটা বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। যেখানে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সেখানে কয়েকটি করেছি এবং বিজ্ঞান শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য ‘৯৬ সালেই ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আইন পাশ করে যাই।

সরকার গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণা ছাড়া কখনো উৎকর্ষতা লাভ করা যায় না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় স্বর্ণপদক বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সোনার ছেলে-মেয়ে আখ্যায়িত করে আগামীতে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলায় নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলে দেশগড়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে এবং লেখাপড়ায় আজকাল মেয়েরাই ভালো করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ছেলেদের পাঠে আরো মননিবেশ করারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানেও ১৭২ জন কৃতি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৮ জন নারী (৮৪ জন পুরুষ) স্বর্ণপদক পেয়েছেন। মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে- বিষয়টি একদিকে আনন্দের হলেও পড়ালেখায় ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

নিউজওযান২৪.কম/এমজেড
 

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত