ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

সৌদির ইমিগ্রেশনও হবে ঢাকায়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ১৩ এপ্রিল ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ থেকে এবার যারা হজে যাবেন তাদের আর সৌদি আরবে গিয়ে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা পোহাতে হবে না। সেই আনুষ্ঠানিকতা এবার সম্পন্ন হবে বাংলাদেশেই। সচিবালয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্য জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সফররত সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সৌজন্য সাক্ষাতেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

সেখানে উভয়পক্ষ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সৌদি আরবের পরিবর্তে বাংলাদেশে সম্পন্ন করার বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করে এবং দুই দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা আশকোনা হজক্যাম্পে এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন করেন। আসন্ন হজেও একই নিয়মে তারা হজক্যাম্প ও শাহজালালে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন। এরপর উভয় বিমানের হজযাত্রীদের শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি এক্সক্লুসিভ জোনে নিয়ে যাওয়া হবে। সৌদি আরবের জেদ্দায় যে ইমিগ্রেশনের কাজ হতো, তা ওই এক্সক্লুসিভ জোনেই সম্পন্ন হবে।

এক্সক্লুসিভ জোনের সব কার্যক্রম সৌদি আরবের টেকনিক্যাল টিমের হাতে থাকবে জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই ধাপের ইমিগ্রেশন শেষ করে হজযাত্রীরা ফ্লাইটে উঠবেন। সৌদি আরবে পৌঁছে আর ইমিগ্রেশনের ঝামেলা থাকবে না। ফলে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করার বিড়ম্বনা লাঘব হবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঠিকঠাক সম্পাদনের লক্ষ্যে এবার হজ ভিসার জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়ার আগেই দেশের আট বিভাগে প্রত্যেক হজযাত্রীর ১০ আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হবে।

এবার আর হজযাত্রীদের কোনো অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে না- এমন আশা প্রকাশ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যবারের থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে এবার বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। তারা কষ্ট পাবেন- এটা আমরা কিছুতেই হতে দেব না। সৌদি হজমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটা বাড়ানোর বিষয়টি রয়্যাল কেবিনেটে উপস্থাপন করার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ধর্মসচিব আনিছুর রহমান বলেন, শুধু হজের ‘ডেডিকেটেড’ ফ্লাইটের যাত্রীরা ঢাকায় সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন করতে পারবেন। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে গেলে বা শিডিউল ফ্লাইটে যারা হজ করতে যাবেন তারা এই সুবিধা পাবেন না। সময় হাতে রেখেই শাহজালাল বিমানবন্দরে সৌদির ইমিগ্রেশন শেষ করা হবে যাতে ফ্লাইট বিলম্ব না হয়। তিনি বলেন, আটটি বিভাগীয় শহরের ডিসি অফিসে আঙুলের ছাপ সংগ্রহের জন্য বিশেষ কর্নার খোলা হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট হজ হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হাবের প্রতিনিধিরা।

নিউজওয়ান২৪/ইরু

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত