রেলে শেখ হাসিনার ব্যাপক উন্নয়ন
যাহিন ইবনাত

ফাইল ছবি
কখনো দুই গ্রামের মাঝখানে আবার কখনো দুই পাহাড়ের মধ্য দিয়ে চলবে ট্রেন। চারপাশে থাকবে সবুজের সমারোহ। যাত্রা পথে ট্রেনে দেখা যাবে চোখ ধাঁধানো মনোরম দৃশ্য। থাকবে সাজানো-গোছানো রেলওয়ে স্টেশনও।
বলছিলাম, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ রেল প্রকল্পের কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এর সম্প্রসারণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল। এ প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপন করার কথা ছিল।
এবার কক্সবাজারবাসীর এই স্বপ্নের ট্রেনযাত্রা বাস্তবায়ন হচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যে। এরই মধ্যে প্রকল্পের কাজ ১৫ ভাগ কাজও শেষ হয়েছে। আর কক্সবাজার অংশে শেষ হয়েছে ১৭ ভাগ।
এদিকে, এমনই একটি নকশা ভিডিও গ্রাফিকস আকারে তুলে ধরা হয়েছে। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্রের ওপর ভিত্তি করে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, রামু, ঈদগাহ ও উখিয়ার রেল স্টেশনের নকশা বানানো হয়েছে ওই ভিডিওচিত্রে।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে রামু থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ এখন বন্ধ আছে। এর পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৫ হাজার ৪৭৬ কোটি আর ঘুনধুম পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা।
চলতি বছরের জুলাইয়ে চীনের বৃহত্তম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশিয় তমা কন্সট্রাকশন কোম্পানি এর যৌথভাবে কাজ শুরু করে। এ প্রকল্পের কাজ ৩ বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা আছে।
এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চন্দনাইশে ১০ একর, সাতকানিয়ায় ১৭৬ একর, লোহাগাড়ায় ১৭৭ একর, চকরিয়ায় ৫১৪ একর, কক্সবাজার সদরে ২১০ একর ও রামুতে ২৭৯ একরসহ মোট ১ হাজার ৩৬৬ একরের মধ্যে বন বিভাগের ১৬৫ একর ছাড়া বাকি সব জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এর মধ্যে চকরিয়ার ৫১৪ একর জমি চলতি মাসে পেলেও বন বিভাগ থেকে ১৬৫ একর জমি না পাওয়ায় পুরোদমে কাজ করতে পারছে না এ প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। সে সঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হলেই রেলপথ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত রয়েছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
এই প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছরের মার্চের দিকে বৈরী আবহাওয়ায় এর কাজ শুরু হয়। তবে জুলাই থেকে পুরোদমে এর কাজ চলছে। চট্টগ্রাম থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রকল্পের ১৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে ঘুনধুম পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ এখন হচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৩ বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এদিকে, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারবাসীরা মনে করেন, রেললাইন প্রকল্প হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন শেখ হাসিনার।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ