যে কারণে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় চায় ভারত
যাহিন ইবনাত

ফাইল ছবি
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এখনো বেশ নিষ্ক্রিয়তায় ভারত। তবে তারা যে, আবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-নীতিনির্ধারকের সঙ্গে সাক্ষাতে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, বিজেপির এক প্রভাবশালী নেতার কাছ থেকে তিনি জেনেছেন, গোটা দক্ষিণ এশিয়াতে শেখ হাসিনা হলেন সবচেয়ে ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড অ্যালাই’। তার সঙ্গে ভারতের এই বন্ধুত্ব পরীক্ষিত, আস্থার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তাকে ছাড়া আমরা ঢাকার ক্ষমতায় অন্য কাউকে ভাবতেই পারি না!
শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষ হাতে গত দশ বছরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন বলেই এবারো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতকে মাথা ঘামাতে হচ্ছে না, এমনটাও মনে করছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির ওই নেতা।
তাছাড়া রাজনৈতিক সিস্টেমে তিনি বিরোধী জোটকে সংলাপে ডেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, নিজে অনেক বেশি অ্যাকোমোডেটিভ হয়ে বিএনপিকেও নির্বাচনে আসতে বাধ্য করেছেন— তাতে বলাই বাহুল্য, এবারের নির্বাচন অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে। এই কৃতিত্বেও তিনি পুরোপুরি শেখ হাসিনাকে ক্রেডিট দিয়েছেন।
এর আগে, ২০১৪ সালের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য চেহারা দিতে ভারতকে যে রকম সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল, এবার কিন্তু তার কোন প্রয়োজনই হচ্ছে না শুধু মাত্র শেখ হাসিনার দক্ষ ও উদার রাজনীতির কারণে এমনটাই বিশ্বাস ঢাকার একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাদের।
কেন নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিকল্প দেখতে চায় না ভারত?
নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র নেতার বরাত দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, অনেকগুলো কারণে ভারত শেখ হাসিনাকে পছন্দের শীর্ষে রেখেছে। তার প্রথম কারণ, গত দশ বছরে শেখ হাসিনার শাসন আমলে দুদেশের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তা একসময় কল্পনাও করা যেতো না। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলো আজ শান্ত, তারা দিল্লির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসছে। এতে শেখ হাসিনার অবদান কিন্তু কম নয়।
শেখ হাসিনার বিকল্প নেই কেন? প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রেও দুদেশের মধ্যে একটা অনিস্বীকার্য বিপ্লব ঘটেছে। আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে বাস কলকাতায় আসছে-যাচ্ছে তাছাড়া আশুগঞ্জ বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ ঢুকে পড়ছে, দুদেশের মধ্যে রোজ বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলছে, এছাড়াও কার্গো শিপ চট্টগ্রামে ভিড়তে যাচ্ছে, এটা কী ভারত-বাংলাদেশের কোন সরকার আগে ভেবেছিল?
বিজেপির এই মন্ত্রী মনে করেন, তাপবিদ্যুৎ খাতে, রেল-সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে ও আরো নানা কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ-ভারতের শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হলে এই বিপুল লগ্নি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
যার ফলে শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কাউকে এই আসনে ভাবতেও চান না ভারত।
কিন্তু শেখ হাসিনাকে স্ব-আসনে দেখতে চাইলেও ভারতের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কোনো অভিযোগ যাতে না ওঠে, সে ব্যাপারেও বেশ সতর্কতায় এবার ভারত। তবে বন্ধু দেশ হিসেবে তারা সবসময় সুখে দুঃখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়েছেন। তাই তারা পছন্দের তালিকায় তাকে এগিয়ে রাখতে চান।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী যেমন বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে আমরা পছন্দের কোনো দলকে যদি জয়ী দেখতে চাই, তার মধ্যে কিন্তু অন্যায় নেই। বিশ্বের সব দেশই চায় তাদের প্রতিবেশী দেশে বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার আসুক, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় থাকবে। এই চাওয়াটা শতকরা একশ’ শতাংশ সঙ্গত বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ভারতের সেই ‘চাওয়া’টা বহাল থাকবে বলেও তিনি নিশ্চিত হয়েছেন।
নিউজওয়ান২৪/জেডআই
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ