প্রচারণার অন্যতম কৌশল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চারিদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ। কেউ উঠতে চায় নৌকায় আর কেউ ভুনতে চায় ধান। নিজেদের দলের প্রচারণায় ব্যস্ত সমর্থকরা। এর মধ্যে থেমে নেই তরুণরাও। নৌকা জিতলে বাংলাদেশ, নৌকা হারলে বাংলা শেষ, এখন সিদ্ধান্ত আপনার? বৈঠা ধরো আরেকবার, জয় হবে জনতার, শেখ হাসিনার সালাম নিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন। ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতি বদলে দেবে পরিস্থিতি। তরুণদের এসব শ্লোগান হরদম চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন প্রচারণা এবারই প্রথম। আর এটাকে পুঁজি করে প্রচারণা করছেন প্রবীণ ও জৈষ্ট নেতারাও।
তফসিল ঘোষণার কয়েকদিন আগে থেকেই বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা শুরু করেন। মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এবার প্রচার-প্রচারণার প্রধান হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক ক্লিকে বার্তা পৌঁছে যাচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের দ্বারপ্রান্তে। সেটি সম্ভব হচ্ছে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে।
এই মাধ্যমকে ঘিরে এখন চলছে শেষ মূহুর্তের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সবার কাছে যেতে পারছেন না প্রার্থীরা। তাই অনেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা প্রচারণায় কৌশল হিসেবে প্রাধান্য দিচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে।
প্রার্থীরা এমপি নির্বাচিত হলে কি কি সুবিধা দেবেন এলাকাবাসীকে সেটা ভিডিও কিংবা লিখিত পোষ্ট করে ফেসবুক পেজে প্রচার করছেন। এর ফলে স্বশরীরে সবার কাছে যেতে না পারলেও এলাকায় ভোটারদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে প্রার্থীর বক্তব্য। যা বেশ দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সব শ্রেণীর ভোটারদের কাছে।
এদিকে, এবার নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি-জামায়াতের পোষ্টার ব্যানার তেমন নেই বললেই চলে। তাদের প্রচারণা মিউজিক ভিডিও বা অডিও বানিয়ে প্রচার করছেন তরুণ ভোটাররা। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে পিছিয়ে পড়ছে পুরোনো প্রচারণার মাধ্যমগুলো। ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করা বেশ কিছু তরুণ ছাত্রলীগের কর্মী এই ব্যাপারে কথাও বলেছেন, তাদের ভাষ্য, এটার মজাই আলাদা। পায়ে হাটতে হচ্ছে না। আর মিউজিকের তালে তালে আমরা নৌকার ভোট চাচ্ছি বেশ আনন্দ পাচ্ছি।
অপরদিকে ছাত্রদলের কর্মীদেরও সে একি বক্তব্য। তাদের মতে, আমরা মাঠে থাকতে না পারলেও সাধারণ মানুষের কাছে খুব দ্রুত পৌঁছাতে পারছি। এলাকার সব জায়গাতে প্রচার করতে পারছি। সব মিলিয়ে প্রচারণার শীর্ষে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।
এদিকে, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো মিডিয়াগুলোও রাজনীতিবিদদের সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে টাকার বিনিময়ে প্রচারের প্রথাগত পদ্ধতিগুলো থেকে বের হয়ে বর্তমানে নামমাত্র খরচে প্রায় প্রত্যেকের কাছে প্রার্থীরা পৌঁছে যেতে পারছেন। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিনেও নিচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ