ঢাকা, ২৪ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:

নিরাপত্তার চাদরে সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আর মাত্র একদিন বাকি। শনিবার রাত পোহালেই উৎসবমুখোর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে ভোট উৎসবে মেতে উঠবে পুরো দেশ। এই ভোট উৎসবকে সামনে রেখে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে সারাদেশ। 

এদিকে, দেশের মানুষ এবং নির্বাচনে সহিংসতা এড়াতে এক যোগে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। সারাদেশে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও।

আর ৪০৭ উপজেলায় স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনী টহল দেবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে আগে থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছে এলিট ফোর্স র‌্যাব, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৬ লাখ সদস্য সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছেন।
 
শুক্রবার সকাল থেকে র‍্যাব ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতা লক্ষ করা গেছে রাজধানীতে। রাজধানীতে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে সেনাবাহিনীকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখা হয়েছে রাজধানীকে। বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, পুলিশের নির্ধারিত চেকপোষ্টের বাইরে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোষ্ট। পুলিশের সাথে নিরাপত্তা জোড়দার করতে র‍্যাবের চেকপোষ্টও বসানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সকল প্রকার যানবাহনের গতি রোধ করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে্।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো পোস্টার-ব্যানারে সয়লাব থাকলেও শেষ হয়েছে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতা চোখে পড়ার মত। শুধু রাজধানী নয়, নির্বাচন ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে সারাদেশকে। দেশেব্যাপি র‍্যাবের প্রায় ১০ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নেমেছে। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সমানভাবে কাজ করছে।

এদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সারাদেশে চলছে জোর প্রস্তুতি। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসন ক্যাডারের ৬৩৭ জন কর্মকর্তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করবেন।
 
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, নির্বাচনে সাধারণ এলাকার ভোটকেন্দ্রের পাহারায় একজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য, মেট্রোপলিটন এলাকার ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১৫ জন এবং দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার ভোটকেন্দ্রে দুজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহলে থাকবেন।

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত