ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:

গোলার আঘাতে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ বীরশ্রেষ্ঠ মো. রুহুল আমিনের মৃত্যুবার্ষিকী। আজ ১০ ডিসেম্বর। বিজয়ের উষালগ্নের মাত্র ৬ দিন আগে ১৯৭১ এর এই দিনে খুলনার রূপসা নদীতে রণতরী পলাশে যুদ্ধরত অবস্থায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমানের গোলার আঘাতে শহীদ হন বীর যোদ্ধা মো. রুহুল আমিন।

তার জন্ম ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাঁচড়া (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) গ্রামে। ১৯৫৩ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর অধীনে পিএনএসআরএ-১ এর ইঞ্জিন অফিসার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। তিনি ৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে খুলনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৌঘাঁটি তিতুমীর দখলের জন্য মুক্তি বাহিনীর রণতরী ‘পলাশ’, ‘পদ্মা’ এবং ভারতীয় রণতরী ‘পানভেল’ নিয়ে বীরত্বের সঙ্গে ‘হিরণ পয়েন্টে’ প্রবেশ করেন।

১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় কোনও ধরনের বাধা ছাড়া রণতরীগুলো মংলা বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছে। এরপর হঠাৎ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমান থেকে রণতরীগুলোর ওপর বোমা বর্ষণ শুরু হয়।

এ সময় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন রণতরী ‘পলাশ’ এর ইঞ্জিন পরিচালনা করছিলেন। শত্রুর গোলার আঘাতে রণতরী পলাশের ইঞ্জিন রুম এবং রণতরীতে রক্ষিত গোলা বারুদে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে রুহুল আমিন গুরুতর আহত হন। এক পর্যায়ে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন। নদী সাঁতরে তিনি তীরে ওঠার সময় স্থানীয় রাজাকাররা নির্মমভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে রুহুল আমিনকে হত্যা করে। পরে খুলনায় রূপসার বাগমারা গ্রামের মুক্তিকামী আবদুল গাফফার স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় পূর্ব রূপসার চরে রুহুল আমিনকে দাফন করেন।

দিবসটি উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা এবং দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত