কঠোর হচ্ছে ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ সময়ও নেই। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে এরইমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় জোড়েশোড়ে নেমেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। প্রচারণাকে ঘিরে দেশের নানা স্থানে ঘটছে সহিংস ঘটনা। বাড়ছে প্রার্থী-কর্মী ও রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের ঘটনাও। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিদিনই যেমন অভিযোগ আসছে তেমনি প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগও উঠেছে ইসির বিরুদ্ধে।
কমিশন অবশ্য বরাবরই প্রতিকারের আশ্বাস দিয়ে আসছে। তবে অভিযোগকারীদের আঙ্গুল সরেনি তিলমাত্র। উপরন্তু লেভেল প্লেয়িং নিশ্চিত না হওয়ার বিষয়টিই ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসছে বার বার। যেকারণে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ।
সার্বিক বিবেচনায় ভোটের মাঠের নিয়ন্ত্রণে এবার কঠোর থেকে কঠোরতম হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিধি প্রতিপালনে বাধ্য করতে মাঠে নামার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের। সেইসঙ্গে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের কন্ট্রোল এবং নির্বাচনী পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কাউকে আটক করার ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা না পাওয়া সেনাবাহিনীকে।
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেই এই বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বেড়াবেন। জরুরি প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় তারা গ্রেফতার করতে পারবেন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত আইশঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় নির্বাচনে ১০ দিন সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে উদ্যোগ নেয় কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। রিটার্নিং অফিসার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে তারা।
আজ শনিবার অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে তাদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুবু তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। তারা জরুরি প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় গ্রেফতার করতে পারবে। সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সেনাবাহিনী সিআরপিসি অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কাউকে আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
নিউজওয়ান২৪/এএস
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ