ওভারব্রিজ ব্যবহার না করলে এক ঘণ্টার কাউন্সিলিং
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
রাজধানীতে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে সর্বদাই জনগণের মাঝে একটি অনিহা কাজ করে। জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা ব্যস্ততম রাস্তা পার হতে রাজি কিন্তু ওভারব্রিজ ব্যবহারে না। এমন মানসিকতাকে কৌশলে কাজে লাগাতে সচেতনতামূলক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগ।
এ কার্যক্রমের আওতায় এখন থেকে নির্ধারিত ফুট ওভারব্রিজে না উঠে সরাসরি রাস্তা পার হলেই বসতে হবে এক ঘণ্টার কাউন্সিলিং ক্লাসে। ট্রাফিক আইন ও সচেতনতাভিত্তিক জ্ঞান নিয়ে তবেই ছুটি মিলবে সেখান থেকে।
এয়ারপোর্ট সড়কের বনানী পুলিশ বক্সে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে বসে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কাউন্সিলিং ক্লাস করছেন কয়েকজন পথচারী। পুলিশ সদস্যদের দেয়া ট্রাফিক আইন ও ট্রাফিক সচেতনতাবিষয়ক বিভিন্ন লিফলেট পড়ছেন তারা। পাশাপাশি মৌখিকভাবে তাদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন ট্রাফিক সদস্যরা।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, কিছুক্ষণ আগে ফুট ওভারব্রিজের বদলে সড়ক দিয়ে যত্রতত্র এবং বিপজ্জনকভাবে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। এজন্য তাদের ধরে এনে ক্লাস করানো হচ্ছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, রাজধানীতে এমনিতেই রাস্তার তুলনায় গাড়ি ও মানুষের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে বনানীসহ বেশ কিছু স্থানে দিনের বেশিরভাগ সময় যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। এসব স্থানে নিরাপদ পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ থাকলেও তা ব্যবহারে অনীহা বেশিরভাগ পথচারীর।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (উত্তর) উপ-কমিশনার প্রবীর কুমার রায় বলেন, সড়ক নিরাপদ করতে চাইলে সবাইকে সচেতন ও আন্তরিক হতে হবে। অথচ বেশিরভাগ পথচারী কাছেই ফুট ওভারব্রিজ থাকলেও সামান্য সময় বাঁচাতে ও কষ্ট এড়াতে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হন। তাই ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনা হ্রাসে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়ার ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়েছে, সমস্যার মূল হচ্ছে সচেতনতা। তাই আমরা পথচারী ও নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তাদের ৪৫ মিনিটের মতো কাউন্সিলিং করাই। আমার মনে হয়, মাত্র দুই মিনিট সময় সাশ্রয় করতে গিয়ে যারা একবার এমন রাস্তা পারাপারে এক ঘণ্টার কাউন্সিলিং ক্লাসে এসেছেন তারা আর দ্বিতীয়বার এই কাজ করবেন না।
এদিকে পুলিশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সদ্য কাউন্সিলিং ক্লাস করা অনেকেই।
সাগর নামের একজন পথচারী বলেন, অফিসের সময় কিছুটা দেরি হয়েছে তাই তাড়াহুড়ো করে অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলাম।
এটা যে অন্যায় তা কি বুঝতে পেরেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যা, আমি অন্যায় করেছি। ভবিষ্যতে নিজেও করব না অন্যদেরও করতে নিষেধ করব।
নিউজওয়ান২৪/ইরু
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ