ঢাকা, ২৮ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:

ইসলাম শিক্ষাদানকারীরা অবহেলিত থাকতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ৪ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

যারা দিন ইসলামের খেদমত করে, তাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরে সৌভাগ্যের বিষয় মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাকে যখন সংবর্ধনার কথা বলা হয়, তখন আমি বলি আমাকে না, এটা হবে আল্লাহকে শুকরিয়া আদায়। কারণ ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানুষকে শান্তির পথ দেখায়। দ্বীন ইসলামের শিক্ষাদানকারীরা কেন অবহেলিত থাকবে? তাদেরকে কখনও অবহেলিত থাকতে দেয়া যায় না।

রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানানোর আগে তাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দেন কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

পরে বক্তৃতা শুরু করেই মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আলেম-ওলামাদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ শিক্ষার মতোই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সংযুক্ত হলেই একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হয়। আর কেউ যেন কওমি স্বীকৃতি বাতিল করতে না পারে সেজন্য এই আইন (স্নাতকোত্তর স্বীকৃতি) করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমেই মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে। ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তারের জন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মসজিদ নির্মাণ করে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার হয়। কোনও অপপ্রচার বিশ্বাস করবেন না। দ্বীনি শিক্ষার মানুষেরা এদেশে কোনোদিন অবহেলিত হবেন না।

তিনি বলেন, সত্যিকার ইসলামে বিশ্বাসীরা জঙ্গি হয় না। যারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে, তারা ইসলামে বিশ্বাস করে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এখন টঙ্গিতে যে বিশ্ব ইজতেমা হয় সেটি শেখ মুজিবুর রহমান করেছিলেন। ওআইসির স্বীকৃতি লাভ তার সময়ে হয়েছিল। তিনি কওমি শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু জাতির জনক সেটা করতে পারেননি। ১৯৭৫ সালে আমি পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। ১৯৭৭ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কওমির স্বীকৃতি দেওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি অবাক হয়েছিলাম। কওমী শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে সরকার সব রকম সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, আল্লাহ ছাড়া আমি কাউকে ভয় করি না।

‘হাইআতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজওয়ান২৪/এমএস

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত