অধ্যক্ষ সিরাজের পরিকল্পনায় আগুন দেয় ৪ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে (১৮) হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। নুসরাতের গায়ে সরাসরি চার জন আগুন দিলেও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ছিল মাদরাসা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম। আরেকটি মেয়ে ছিল (যার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে)। কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে মাদ্রাসার মূল গেট দিয়েই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ৪ নম্বর রোডস্থ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হেড কোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিং করেন পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে পিআইবি জানায়, নুসরাত জাহান রাফির গায়ে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার ঘটনার সঙ্গে ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ৭ জন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নুসরাতের গায়ে সরাসরি আগুন দেয় যে চারজন তার মধ্যে এক নারীসহ দুই জনকে চিহ্নিত করা গেছে। এই দুইজনের একজন মাদরাসা ছাত্রলীগের সভাপতি (অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ঘোষিত কমিটি) শাহাদাত হোসেন শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাকে এখনও পিআইবির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। সিবিআই তাকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের গ্রেফতারের অভিযানে আছে।
এজাহারভুক্ত গ্রেফতারকৃত সাত জন হলো- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা (৫৫), মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন (২০) ও শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম (৪৫), জোবায়ের আহম্মেদ (২০), জাবেদ হোসেন (১৯) ও আফতার উদ্দিন। এজাহারে নাম উল্লেখ থাকা হাফেজ আব্দুল কাদের পলাতক আছে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন গ্রেফতারকৃতরা ছয় জন হলো- কেফায়েত উল্লাহ জনি, সাইদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি, নূর হোসেন ও আলাউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেদিন নুসরাতকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে নিয়ে বোরখাপরা ৪ জন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সংকটজনক অবস্থায় ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন পর গত বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় গত সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে অধ্যক্ষ ও পৌর কাউন্সিলরসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। মামলা নম্বর ১০। এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ঘনিষ্ঠজন জাবেদ ও নুর উদ্দিনসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার হয়েছে।
নিউজওয়ান২৪/ইরু
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ