ঢাকা, ০৯ জুলাই, ২০২৫
সর্বশেষ:

৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

শত্রুমুক্ত হয় উপকূলীয় শহর বরগুনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৫, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

 

একাত্তরের এই দিনে (৩ ডিসেম্বর ১৯৭১) একদিকে যেমন বাংলার বুকে এগিয়ে চলছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় যাত্রা, অন্যদিকে বহির্বিশ্বে ততোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে গড়ে উঠছিল বিশ্বজনমত। 

আজকের দিনে শত্রুমুক্ত হয় বাংলাদেশের উপকূলীয় শহর বরগুনা। যুদ্ধের সময় এই জেলাটি ছিল ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে। এই সেক্টরের অন্তর্গত বুকবনিয়া সাব-সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাত্তার খান ও তার সঙ্গীরা ২ ডিসেম্বর বুকবনিয়া থেকে বেতাগী থানার বদনিখালি বাজারে অবস্থান নেন। রাত দুইটায় তারা বরগুনা সদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ফজরের আজানের পর পরই যোদ্ধারা ৬ টি পয়েন্ট থেকে এক যোগে শত্রুবাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করেন। মুক্ত হয় বরগুনা।

এ দিনে ভারতের কয়েকটি শহরে পাকিস্তান বিমানবাহিনী হামলা চালালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করে। ভারতের অমৃতসর, পাঠানকোট, শ্রীনগর, অবন্তীপুর, যোধপুর, আম্বালা, আগ্রা, অবন্তীপুরে এক যোগে হামলা চালানো হলে ভারতও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। গঠিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এদিন তাদের প্রথম অপারেশন চালায়। মেজর আইনউদ্দীনের নেতৃত্বে এদিন কুমিল্লার মিয়াবাজার দখল করে নেয় মুক্তিবাহিনী। নোয়াখালীতে সুবেদার মেজর লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সোনাইমুড়ী মুক্তি করেন। পাকিস্তান এয়ারলাইন্স এদিন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝে চলাচলকারী সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করে। সামরিক জান্তা ঢাকায় সান্ধ্য আইন জারি করে।

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত