ঢাকা, ২৯ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:

মাদক সেবন ও বহনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৭ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি


সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০১৮ পাস হয়েছে। এতে ইয়াবা, সিসা, কোকেন, হেরোইন ও পেথিডিন জাতীয় মাদকের ব্যবহার, সেবন, বহন, আমদানি-রফতানি বা বাজারজাত করার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে বিধান রাখা হয়েছে। 

শনিবার জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়।

গত ২২ অক্টোবর বিলি সংসদে উত্থাপিত হলে তা সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি ৮ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।

প্রস্তাবিত আইনে ইয়াবা ৫ গ্রামের কম হলে এক থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ইয়াবার পরিমাণ ৫ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

পাস হওয়া বিলে মাদককে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সব ধরনের মাদককে প্রস্তাবিত নতুন আইনে কভার করবে না। যেকোনও ধরনের মাদক কোনও না কোনোভাবে তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এই বিলে মাদকাসক্তের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, শারীরিক বা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি অভ্যাসবশে মাদকদ্রব্য গ্রহণ বা সেবনকারী ব্যক্তি। এ বিলে মাদকের চাষাবাদ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, স্থানান্তর, আমদানি, রফতানি, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর, অর্পণ, গ্রহণ, প্রেরণ, লেনদেন, নিলামকরণ, ধারণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন, সেবন, প্রয়োগ, ব্যবহারকে অপরাধ গণ্য করা হবে।

তবে মুচি, মেথর, ডোম, চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তাড়ি ও পঁচুই এবং পার্বত্য জেলা বা অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যগতভাবে তৈরি করা মদ পান করার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না।

প্রস্তাবিত আইনে কোনও ব্যক্তির কোনও অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে, সাহায্য করলে বা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তাকেও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেয়া যাবে। কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তি পেতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও মাদকদ্রব্যের উপজাত ব্যাপকভাবে অপব্যবহৃত হচ্ছে। এসব দ্রব্য কোনও কোনোটি জীবন বিধ্বংসী ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তাই মাদকের ভয়াবহ আগ্রসন থেকে দেশের জনগনকে রক্ষা করতেই এই বিলটি আনা হয়েছে।

নিউজওয়ান২৪/এমএম

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত