ঢাকা, ২৭ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:

‘ভোলা সাইক্লোন’, উপকূলবাসীদের আঁতকে উঠার ‘সেই দিন’ আজ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১২ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ ১২ নভেম্বর। এই দিনটির কথা মনে পড়লে আঁতকে উঠেন উপকূলবাসীরা। তাদের মন থেকে ভুলে যাওয়ার নয় আজকের দিনটি। বলছিলাম ‘ভোলা সাইক্লোন’ এর কথা। ১৯৭০ সালের এইদিনে বাংলাদেশের উপকূলীয় জনপদে আঘাত এনেছিল এই মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়। এক রাতেই লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল বির্স্তীর্ণ উপকূল। ওই রাতেই মারা যায় ১০ লাখ মানুষ। 

সরকারি তথ্যে এর সংখ্যা ৫ লাখ বলা হয়। তবে, জাতিসংঘের তথ্যে বলছে, বিশ্বের ইতিহাসে এ পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। এর গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২০৫ কিলোমিটার (স্থায়ীত্ব ৩ মিনিট) ও ১৮৫ কিলোমিটার (স্থায়িত্ব ১ মিনিট)। এই সময়েই ১০ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া ছাড়াও লন্ডভন্ড হয়েছিল উপকূলীয় জেলাগুলোর বিস্তীর্ণ জনপদ।

এমনকি এর ভয়াবহতার প্রভাবে ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে উপকূলীয় এলাকায় ১৭টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহাপ্রলয়ের এই গভীর ক্ষত সেখানকার মানুষ গেল ৪৮ বছরেও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

ইতিহাস বলছে, ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার দীর্ঘ ১৫ দিন পর হেলিকপ্টারে চড়ে উপকূলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে মাত্র ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। এ ঘটনায় চরম ধিকৃত হয়েছিলেন এই সামরিক স্বৈরশাসক।

অন্যদিকে, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড়ের মাত্র একদিন পরেই লঞ্চযোগে উপদ্রুত এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন।

এদিকে ইতিহাসের ভয়াবহতম এই দিনটিকে দীর্ঘ ৪৮ বছরেও কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও তাদের স্বজনদের দাবি, জাতির ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ দিন ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হোক।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত