ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:

গুজব ঠেকাতে গণমাধ্যমকেও ভূমিকা রাখতে হবে: মনিরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৮  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয় এ কারণে গুজব রোধে শুধু পুলিশ প্রশাসনই নয়, গণমাধ্যমকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ‘জাতীয় নির্বাচন: গুজব ও সহিংসতা প্রতিরোধে সম্প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের গুজব বন্ধ ও তথ্য সংগ্রহ করতে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিডিয়া সেল করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে আর সেখান থেকে গণমাধ্যম তথ্য পাবে বলেও জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম। 

মনিরুল বলেন, ‘গুজব দু’রকম হয়। এক, ইনোসেন্ট গুজব। এ রকমের গুজবে দেখা যাচ্ছে, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন কিংবা এটিএম শামসুজ্জামান, নায়ক রাজ্জাক মারা গেছেন। যদিও তা সত্য নয়। এতে করে সহিংসতার সম্ভাবনা নেই। 

আরেক ধরনের গুজব হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা ইনটেনশনালি মিথ্যে তথ্য প্রচার করা। এটাই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছি। এর উৎসগুলো যদি খুঁজি, দেখবো, ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেইসবুক টুইটার ও ইউটিউবের মাধ্যমে। আরেকটা হলো অনলাইন নিউজ পোর্টাল।

কাউন্টারর টেরোরিজম প্রধান বলেন, ‘বিগত দিনে দেখেছি- গুজবের কারণে অনেক সময়ই সহিংসতা ও নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পরে দেখা গেছে তা সিস্টেমেটিক উপায়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রচারের চেষ্টা ছিল। সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে। এমন গুজব প্রচার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এমন তথ্য যাচাই করার ব্যবস্থা গণমাধ্যমে থাকা উচিত। সিএনই, চিফ রিপোর্টার কিংবা সম্পাদক ফিল্টারিং করবেন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ছবি তুলতে দেবেন না। কারণ নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনি যা দেখবেন তাই বলতে পারেন। কিন্তু মনগড়া কিছু বলতে পারবেন না। আর কোনোভাবে প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না যে, সব পুলিশ ঠিক করে দেবে। মানুষের একটা মনস্তাত্বিক দিক হচ্ছে গুজব বা মিথ্যা তথ্য বিশ্বাস করা। যিনি যা ভাবছেন সেরকম কিছু পেলেই তা প্রকাশ করছেন সোস্যাল মিডিয়ায়।’ 

এক্ষেত্রে বিশেষ করে বিশ্বস্ত লোকজনের আরও সজাগ ও সহনশীল হবার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশ এর প্রধান ও এসএটিভির অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর এমএম বাদশার সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক ছিলেন- সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, চ্যানেল২৪ এর বার্তা প্রধান রাহুল রাহা, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিএনই আশীষ সৈকত ও এসএটিভির সিএনই ফেরদৌস মামুন প্রমুখ।

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত