ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

শেষ রক্ষা হলো না মাকসুদ-রুমকি দম্পতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১২, ২৯ মার্চ ২০১৯  

মাকসুদ-রুমকি দম্পতির (ফাইল ছবি)

মাকসুদ-রুমকি দম্পতির (ফাইল ছবি)

স্বামী মরলেন লাফ দিয়ে, স্ত্রী মরলেন আগুনে পুড়ে।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর হয়েছে। এদের মধ্যে ওই ভবনের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতে মাকসুদুর রহমান (৩৫) ও তার স্ত্রী রুমকী (২৮)। 

আগুন লাগার পর বাঁচার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন মাকসুদুর। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। মারা গেছে মাকসুদ-রুমকি দম্পতি।
 
এদের মধ্যে রুমকি আক্তারের (৩০) মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে।

এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটিতেই পুড়ে মরেছেন রুমকি আক্তার নামে এক নারী। আর তার স্বামী আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন। তবে মাকসুদুর রহমানের (৩২) মরদেহ রয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মাকসুদুরের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ ঢামেক মর্গে এসে তার ভাবির লাশ শনাক্ত করেন।

তিনি জানান, এই দম্পতির বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে। রুমকি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন। নিহত রুমকি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিন্যাকুড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ঢাকার গেন্ডারিয়ায় তারা বসবাস করতেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই এফ আর টাওয়ারে অবস্থিত একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন।

পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিলেন মাকসুদুর রহমান। বাবা মারা গেছেন ছোট বেলায়। সম্প্রতি মা’কে নিয়ে নতুন কেনা ফ্ল্যাটে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু এখন সবই শেষ হয়ে গেলে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভবনটির ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।

ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। সেই সঙ্গে বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে হেলিকপ্টার থেকে বালু ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হয়। এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি), মোটরসাইকেল ইউনিট, ৫টি হেলিকপ্টার ও সেনাবাহিনীসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।

নিউজওয়ান২৪/আ.রাফি

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত