ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

রিপোর্ট দিতে দেরি: ঢামেকে নার্স-প্যাথলজিস্ট সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১৮ আগস্ট ২০১৯  

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রিপোর্ট আগে নেয়াকে কেন্দ্র করে নার্স ও প্যাথলজিস্টদের সংঘর্ষ ২০জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢামেকের নয়া ভবনের দ্বিতীয় তলার প্যাথলজি বিভাগে শুরু এ সংঘর্ষ থেমে থেমে অনেকক্ষণ ধরে চলে। 
 
সংঘর্ষের খবর শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। তিনি সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। হ্যান্ড মাইকে তিনি বলেন, ‘এটা হাসপাতাল। মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে, আপনারা সবাই শান্ত হোন। কি হয়েছে, আমরা ব্যাপারটা দেখছি।’ তার কথার পর সংঘর্ষে জড়িতরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এদিকে ‘প্যাথলজি বিভাগে তিনজন নার্সকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে’ এমন খবর হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে অন্য নার্সরা মিছিল করে প্যাথলজি বিভাগে যান। সেসময় প্যাথলজি বিভাগের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ভেতরে দুপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ব্রাদার রাসেল জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় তার এক আত্মীয়ের রক্তের রিপোর্ট আনতে প্যাথলজি বিভাগে যান তিনি। অনেকক্ষণ লাইনে থাকার পরও রিপোর্ট না পেয়ে রিপোর্ট প্রদানকারী কর্মকর্তার কাছে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চান। তখন কর্মকর্তা তাকে বলেন, ‘আপনি ব্রাদার হলেই আপনার রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেব, এমন কোনো কথা আছে?’ একথার পরপরই তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্রাদার রাসেলের কলার ধরে মারধর করে করেন প্যাথলজির রিপোর্ট প্রদানকারী ব্যক্তি। এসময় রাসেলের সঙ্গে থাকা তিনজন এর প্রতিবাদ করলে প্যাথলজিতে থাকা অপর স্টাফরা মিলে তিনজনকেই মারধর করে বলে অভিযোগে জানান রাসেল।

অপরদিকে, প্যাথলজি বিভাগে দায়িত্বরত কর্মচারী রুবেল বলেন, ‘যারা তিন-চার বছর আগে নিয়োগ পেয়েছেন, সেই নতুন নার্সদের আদব-কায়দা বলতে কিছুই নেই। তারা কয়েকজন প্যাথলজিতে এসেই মাস্তানি শুরু করে। বলে, আমাদের রিপোর্ট দেন, রিপোর্ট কই? এখনও আমাদের রিপোর্ট পাচ্ছি না! আমরা হাসপাতালের নার্স- এই বলে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। এই চিল্লাচিল্লির একপর্যায়ে আমাদের প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আজিজ বেরিয়ে এলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তারা।’ ডা. আজিজ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। একপর্যায়ে তারা আমার ওপর হামলা করে।’

প্যাথলজি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ঢামেক হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ও টেকনোলজিস্টরা একদিকে অন্যদিকে হাসপাতালের নার্স পক্ষ। এই দুই গ্রুপ এসে প্যাথলজি বিভাগে হাতাহাতি ও মারামারি করেছে। এতে প্যাথলজিতে থাকা সাধারণ রোগীরা রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে এসে দুই গ্রুপের মারামারির মধ্যে পড়েন আতঙ্কিত সময় কাটান। তারা দিগ্বিদিগ ছোটাছুটি করতে থাকেন। সংঘর্ষে মোট ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএম

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত