ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

‘বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন হাব’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ৮ অক্টোবর ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ছবি: বাসস

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একসময় হংকং ছিল আন্তর্জাতিক হাব। এরপর হলো সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড আর এখন দুবাই। পূর্ব ও পশ্চিম আকাশপথের মধ্যবর্তী হওয়ায় ভবিষ্যতে কক্সবাজার বা শাহজালাল বিমানবন্দরের কারণে আমাদের বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক হাব হবে। আমরা সেভাবেই তৈরি হচ্ছি।

শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে বিশ্বের সব দেশের উড়োজাহাজ রিফুয়েলিংয়ের জন্য আমাদের দুটি বিমানবন্দরে আসবে। জেড ফুয়েল যেন সরাসরি শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে সে ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। এছাড়া এখানে পাওয়া যাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সব সেবা। কক্সবাজারে গেলে দেখা যাবে বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ও অপরূপ বাংলাদেশের নান্দনিক সৌন্দর্য্য। আমরা বাংলাদেশকে সেভাবেই গড়ে তুলতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আকাশপথে মানুষের যোগাযোগ সহজ করার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটনসহ সবকিছু উন্নত করতে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সব ব্যবস্থা করছে সরকার। ঝরঝরে উড়জাহাজের যুগ পেরিয়ে বাংলাদেশ বিমানের বহরে যোগ হয়েছে ২১টি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলাচল করছে। আমরা আরো কিছু নতুন উড়োজাহাজ কিনবো। শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে আমাদের আড়াই হাজার নতুন পথ সৃষ্টি হবে। এছাড়া কক্সবাজারে সমুদ্রের পানি ঘেঁষে উড়জাহাজ ওঠানামা করবে। কক্সবাজারের রানওয়ে সেভাবেই গড়ে তোলা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা লালমনিরহাটে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা দেখেছি আশপাশের দেশ চাঁদে চলে যাচ্ছে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো, ভবিষ্যতে আমরাও চাঁদে যাব। সেভাবেই স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তুলবো।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। এভিয়েশন খাতের আরো উন্নতি হোক। মানুষের যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে আকাশপথ অপরিহার্য। নৌপথ, রেলপথ ও আকাশপথ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে বিদেশের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ তার মূল পথ এবং বাহন হলো উড়োজাহাজ তথা আকাশ পথ। আমরা সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন বিমানবন্দরে কোনো বোর্ডিং ব্রিজ বা পার্কিং লট কিছুই ছিল না। তখন থেকেই এ বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং সিলেটে দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও নির্মাণ করি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের দিকেই শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়ন যাত্রা শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে প্রায় ২ কোটি যাত্রী এর সুবিধা পাবেন। এ টার্মিনাল একটি মাল্টিমোডাল পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যেন যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ এবং প্রস্থান করতে সক্ষম হন। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।

এছাড়া আশকোনা হাজী ক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা সরাসরি তৃতীয় টার্মিনালে যেতে পারবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মাসাহিরো কোমুরা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রমুখ।

নিউজওয়ান২৪.কম/Raj

আরও পড়ুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত