ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

নাদিয়াকে চাপা দেওয়া ভিক্টর ক্লাসিকের বাসচালক-হেলপার গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩  

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি


রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানাকে চাপা দেওয়া ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের সেই বাসের চালক লিটন (৩৮) ও হেলপার মো. আবুল খায়েরকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) ভাটারা থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলার পর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে চালক ও হেলপারের গ্রেপ্তারের খবর দেয় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ.আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, রাজধানীর আশকোনায় অবস্থিত বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে মাত্র ১৫ দিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন শিক্ষার্থী নাদিয়া (১৯)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তিনি উত্তরা এলাকায় থাকতেন। তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও তা অকালেই ঝরে গেল সড়কে।

নাদিয়ার বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে। তবে দীর্ঘদিন ধরে নাদিয়ার পরিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাষাড়াতে বসবাস করে আসছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার নাদিয়া তার এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় বই কিনতে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে স্থানীয় একটি মার্কেটের সামনে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। মুহূর্তেই বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান নাদিয়া। এ ছাড়া মোটরসাইকেল চালক অক্ষত ছিলেন। পরে নাদিয়ার মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। সেখানে নাদিয়ার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে নাদিয়ার পরিবার মরদেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যায়। এ ঘটনায় নিরাপদ সড়ক আইনে একটি মামলা থানায় মামলা করেন তার বাবা জাহাঙ্গীর।

এদিকে নাদিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর রবিবার বিকেলের দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক এলাকার কাওলা ব্রিজের নিচে নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের এ রাস্তা অবরোধ কর্মসূচির কারণে কয়েক ঘণ্টা বিমানবন্দর সড়ক এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। তারা অবরোধ কর্মসূচি থেকে নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান।

নিউজওয়ান২৪.কম/রাজ

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত