ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

জুজুর ভয়ের ফেরিওয়ালা বনাম শক্তহাতে লাগাম ধরা এক সারথী

এরিক মোরশেদ

প্রকাশিত: ২১:১২, ২৫ নভেম্বর ২০২২  

গত এক বছরে, বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বৈশ্বিক পরিসরে অর্থনৈতিক মন্দার আওয়াজ বেশ জোরেশোরে বইছে। অর্থনৈতিক-সামরিক-রাজনৈতিক বাস্তবতায় বর্তমান বিশে।বর সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বের পরিস্থিতিই টালমাটাল। 

এই অস্থির পটভূমিতে সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস অ্য়ামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা আসছে। তাই আমেরিকাবাসীকে তাঁর পরামর্শ, ‘ছুটির মরশুমে দামি পরিকল্পনা করে থাকলে, তা স্থগিত রাখুন। হাতে পয়সাকড়ি জমিয়ে রাখুন।’ একই সুরে কথা বলছেন আরেক শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। কেন গ্রিফিনও (সিটাডেল সিইও) মনে করেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ যেভাবে নীতি-সুদহার বৃদ্ধি করছে, তাতে বেকারত্বের হার উল্লম্ফন ঘটবে। ফলে ২০২৩ সালের মধ্যভাগের পরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হবে না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। ইতোমধ্যে বছরের মাঝামাঝি একাধিক প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও অপর বিশ্বশক্তি যুক্তরাজ্যের মতো দেশের জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। মন্দার বাতাস এতই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধময় যে এর ধাক্কায় দুই দুইজন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পতন ঘটেছে অল্প সময়ের ব্যবধানে। 

বৈশ্বিক এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের অবস্থা কেমন? সবার মনেই এই প্রশ্ন। বিশ্বের করে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের প্রতিবেশী তুলনামূলক প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি এমন প্রশ্নে জোর হাওয়া দিচ্ছে। এমনি আবাহে খোদ বাংলাদেশের প্রধামন্ত্রী মন্দা নিয়ে কথা বলেছেন। আমাদের কৃচ্ছ সাধন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি, তিনি দুর্ভিক্ষের মতো অশনি সংকেত পর্যন্ত দিয়েছেন! তার সতর্কতা স্বাভাবিক কারণেই আমাদের চিন্তায় ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে পরে আসছি। সেসবের আগে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার দিকে চোখ ফেরানো যাক। 

আমাদের মনে রাখতে হবে, গত ১৪ বছর শেখ হাসিনা শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করেছেন। এই সময়টায় বিরোধী দল মানুষের পাশে ছিল না বলা যায়, থাকার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। কিন্তু সেই তারাই বর্তমানে রিজার্ভ-সংকট ইত্যাদি জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত আতঙ্কিত করে তুলতে চাইছে। 

গত ৭ নভেম্বর রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করার পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়। এর পরও আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত রয়েছে ৩ হাজার ৪৩০ কোটি ডলাররে। (সূত্র-প্রথম আলো)

এছাড়া, আমাদের প্রবাসী আয়ও থেমে নেই। ডলারের দামের বিপরিতে টাকার অবস্থান কিছুটা পড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে, এটা নিরেট সত্য। অন্য সব দেশের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থাতেও আমাদের দেশের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে কাতার। মাত্র কদিন আগে বাংলাদেশ সফরকালে ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ জ্বালানি, বিমান চলাচল, জনবল নিয়োগ এবং ২ দেশের নারিকদের জন্য সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি সংক্রান্ত ৪টি দলিল স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে। 

এছাড়া, আমাদের প্রবাসী আয়ের অন্যতম উৎস আরব দেশগুলো।  গত ১৯ নভেম্বর উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব সংলাপের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তেলসমৃদ্ধ ছয়টি আরব দেশের জোটের সঙ্গে জ্বালানি ও খাদ্যনিরাপত্তা, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার নতুন দুয়ার উন্মুক্ত হলো। তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ উপসাগরীয় ৬টি দেশের এই সংগঠনের সঙ্গে ওই চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৫০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী জিসিসিভুক্ত দেশে কর্মরত রয়েছে যারা জিসিসি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। এসব দেশে আরও বেশি দক্ষ অভিবাসী কর্মী নিয়োগের আরও সুযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন প্রবাসী শ্রমিকদের যে সংখ্যা উল্লেখ করেছেন তা সরকারি হিসাব মতে। প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরো কয়েক লাখ বেশি। 

এদিকে এসবের সমান্তরালে সম্ভাব্য সঙ্কট সামাল দিতে ভিন্ন প্রস্তুতিও নিচ্ছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৫০ কোটি বা সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি মোট ঋণের পরিমাণ হবে ৪৫০ কোটি ডলার। মোট সাত কিস্তিতে এই ঋণ ছাড় করবে আইএমএফ। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। 

প্রতি ছয় মাস অন্তর ছয়টি সমান কিস্তিতে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ চুক্তিভুক্ত ঋণের পুরো অর্থ বুঝে পাবে। পুরো ঋণের গড় সুদহার ২ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের গতিশীল সম্ভাবনাময় অর্থনীতির প্রতি আস্থাশীল থেকেই আইএমএফ খুব সহজ শর্তে এই ঋণ দিচ্ছে। 

মাঝে বিদ্যুৎ পরিস্তিতি কিছুটা খারাপ হয়েছিল। আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, এরই মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে আরও সুসংবাদ হয়ে এসেছে এ খাতে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগের খবর। মাতারবাড়তে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি ৪০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভূমিভিত্তিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, অটোমেশন ও আইটি খাত, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট দ্রুত সরবরাহ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়েও বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় সিঙ্গাপুর। 

বাংলাদেশের ভেতরেও আমাদের এগিয়ে যাওয়ার নয়া বুনিয়াদের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ মিঠা পানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও উন্নতি করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর সর্বাত্রমক পরিবেশ দূষণজনিত বাস্তবতায় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন কমছে। এর মধ্যে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হিসেবে বিশ্বের চারটি মাত্র দেশ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে, যার অন্যতম বাংলাদেশ। 

একই সঙ্গে বাংলাদেশ চাষের মাছ উৎপাদনে দুই ধাপ এগিয়েছে। স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে এখন তৃতীয় স্থানে আমরা। বাংলাদেশের আগে দুই বিশাল আয়তন ও অর্থনীতির দেশ ভারত ও চীন। এই তথ্য কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা মন্ত্রী-এমপির গালভরা বুলি নয়। খোদ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার–২০২২’ বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিরোধীপক্ষ, একদেশদর্শী সমালোচকরা এসব বিষয় এড়িয়ে যান কী করে?

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার টন। ২০২০ সালে তা ১২ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে, যা বিশ্বের মোট মাছ উৎপাদনের ১১ শতাংশ। ভারতে ১৮ লাখ টন ও চীনে ১৪ লাখ ৬০ হাজার টন স্বাদুপানির মাছ উৎপাদিত হয়।  (সূত্র-প্রথম আলো) 

এতকিছুর পরেও মতকানা-দলকানারা বলতে পারেন, এগুলো তো কাগুজে হিসাব। বাস্তবতা কাগজ নয়। বাস্তবতা হলো বাস্তবতা। এই দাবির সঙ্গে একমত আমরাও। বাস্তব হচ্ছে- সহজ বাস্তবতা আমরা খালি চোখে দেখি। অবশ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনমহামারিসহ অন্যবিধ কারণে বিশ্বজুড়ে চলমান সঙ্কটের তাপে মানুষের পকেটে টান পড়েনি- এমনটা বললে বাস্তবতার অপলাপ হবে। কিন্তু মানুষ একই সঙ্গে সরল বাস্তব হচ্ছে, এবংবিধ সঙ্কটের মাঝেও আমাদের দেশের মানুষ ভাত কাপড় পাচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে, তবুও অকুতোভয় যোদ্ধা বাঙালির এই দেশে এখন পর্যন্ত ভাত-মাছের অভাব নাই। এবং আমাদের বিশ্বাস তেমনটা হবেও না। সেটা কৃষি-মৎস খাতের সাফল্য ধরেই বলা যায়। 

আবারো প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেন কৃচ্ছ সাধনের কথা বললেন, কেন বললেন দুভিক্ষের কথা? চলুন, এবার প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গে ফের ফিরে যাই। খ্যতিমান শিক্ষক ও লেখক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ তার একটি লেখায় বলেছেন, ভালো ছাত্র সে, যে পরীক্ষার ভয়ে ভীত। সেই ধনী যিনি দারিদ্র্যকে ভয় পান। পরীক্ষার ভয় থাকলেই তাকে পড়তে হবে, নিতে হবে প্রস্ততি। মহামতি গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, দারিদ্র্যের কথা স্মরণ কর, যখন প্রাচুর্যে থাক। 

অপচয় প্রসঙ্গে গত বছরে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের তথ্য এখানে উল্লেখ করতে চাই। আর তা হলো, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর মানুষ প্রায় ১০০ কোটি টন খাবার অপচয় করছে। পরিসংখ্যানের তথ্যের তুলনায় বাস্তবে এই অপচয়ের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে বাড়ি-ঘরে একজন ব্যক্তির বছরে খাবার অপচয়ের পরিমাণ গড়ে ৭৪ কেজি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য মতে, মোট খাবার অপচয়ের ১৭ শতাংশ হয় রেস্তোরাঁ ও দোকানে। কিছু খাবার নষ্ট হয় কারখানা ও সাপ্লাই চেইনে। এর অর্থ হলো মোট খাবারের এক-তৃতীয়াংশ কখনো খাওয়াই হয় না। এরমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে অপচয় করা হয় প্রতি সপ্তাহে আট বেলার খাবার। যুক্তরাজ্যের প্রসঙ্গে বলতে চাই, তাদের খাদ্য অপচয়ের ফল হচ্ছে, বর্তমান সঙ্গেটের মুখে অচিরেই দেশটিতে ৭০% থেকে ৮০% জনগণের খাদ্যসংকটের আশংকা করছে খোদ ব্রিটিশ সরকার।

আর তাই, একটা সময়ে দুনিয়াজুড়ে ছড়ি ঘোরানো ব্রিটিশদের অবস্থার পর্যবেক্ষণে আমাদের প্রজ্ঞাবান প্রধানমন্ত্রীর কৃচ্ছতা সাধনের পক্ষে অবস্থান, পরীক্ষার ভয়ে ভীত থাকা ভালো ছাত্রের ভালো প্রস্ততির অবস্থানের সঙ্গেই তুলনীয়। পবিত্র কোরআনে স্বয়ং আল্লাহ বলেন, ‘তুমি অপব্যয় করবে না, নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই’ (বনী ইসরাঈল ১৭/২৬-২৭)। আর যখন মহাসঙ্কট আপনার দরোজায় পদধ্বনি দিতে থাকে তখন সেই অপচয় মহাপাপ তুল্য। 

তবে বর্তমান বাস্তবতায় এখানে অবশ্য ঠিক অপচয় নয়, প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মধ্যে, সেবার মধ্যে, বিলাস-ব্যসনের মধ্যে যেগুলো খুব আবশ্যক নয় তার ব্যাপারে রাশ টানার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তো উন্নয়নে-সঙ্কটে বাংলাদেশের চরাই-উৎরাই সবচেয়ে কাছ থেকে দেখা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পবিত্র কোরানের আলোকে তার দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এক প্রজ্ঞাবান ভিশনারির মতোই নিতে চাচ্ছেন অভাব জেঁকে বসার আগের সেই প্রস্তুতি। একই ইঙ্গত রয়েছে মহামতি বুদ্ধের মন্ত্রেও। 

সত্য হচ্ছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী লেনিনের মতোই জানেন কখন ‘হোয়াট ইস টু বি ডান’। সুতরাং চলমান ও আগুয়ান সঙ্গট মোকাবেলায় সামনের দিনগুলোয় আমাদের কাণ্ডারির ভূমিকা প্রজ্ঞাবান একজন ব্যক্তিত্বের হাদেই মানায়। বাঙালির সঙ্গট মোকাবেলায় গত দেড় দশক ধরে টানা লাগাম হাতে থাকা সেই ব্যক্তিটি শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ নন। অন্তত, তার সঙ্গে তুলনীয় বা তারচেয়ে যোগ্যতর আর কাউকে কে এখন দেখা যাচ্ছে না।

আগে এই সঙ্গক বৈতরণী তো পার হই আমরা, তারপর সর্বগ্রাসী দুর্নীতিকেও টুঁটি চেপে ধরবেন তিনিই, ইনশাআল্লাহ।

লেখক: ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, নিউজওয়ান২৪.কম

আরও পড়ুন
অসম্পাদিত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত