ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

খালেদার জামিন আপিল বিভাগেও খারিজ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি মেডিকেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে সকাল ১০টা ৮ মিনিটে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। সেই শুনানি চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতিসহ ছয় বিচারপতি খাস কামড়ায় যান। সেখানে শুনানি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আবার এজলাসে আসেন। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির আবেদন খারিজ করে দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন- আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, নিতাই রায় চৌধুরী, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। 

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে মামলার কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল আদালত।

আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ মেডিকেল রিপোর্ট সুপ্রিমকোর্টে পাঠানো হয়। বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় রিপোর্ট আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। 

মেডিকেল রিপোর্টে জানা গেছে, খালেদা জিয়া আথ্রাইটিস রোগে ভুগছেন। নতুন কোনো রোগে উনি আক্রান্ত হননি। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতই আছে।

এর আগে, গত বছরের ২৯ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে এ মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। মামলার বাকি সব আসামিকেও একই সাজা দেয়া হয় এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষণা করেন আদালত। সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন না পেয়ে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে জামিন চান খালেদা জিয়া।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড দেওয়ার পর আদালত খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত