ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

আবরার হত্যা: কারাগারে ‘পিটুনি-সম্বর্ধনা’ অনিককে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:১৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৯  

আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন অনিক সরকার

আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন অনিক সরকার

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার একই প্রতিষ্ঠানের অপর শিক্ষার্থী অনিক সরকারকে কারাগারে পিটিয়েছে বন্দি অন্য আসামিরা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছাতেই সেখানে অবস্থানরত ক্ষুব্ধ বন্দীরা হামলে পড়ে অনিকের ওপর।

কারারক্ষীদের প্রাণান্তকর চেষ্টায় অনিককে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

কারা সূত্র জানিয়েছে, আবরারের এমন নির্মম মৃত্যু দেশের সাধারণ মানুষের মতো মেনে নিতে পারেননি কারাবন্দী কয়েদি এবং হাজতিরাও। মদ্যপ অবস্থায় অনিক কয়েক দফায় আবরারকে মারধর করেছিল। ভয়াবহ পিটুনিতে গুরুতর অবস্থা হয় আবরারের। এসময় দুই দফা বমি করলেও অনিকের ভয়ঙ্কর রূপ থেকে রক্ষা পায়নি মৃতপ্রায় আবরার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের সংভাদ ফলাও করে প্রচার হওয়ায় এর খুঁটিনাটি জানতে পারেন কারাবন্দীরাও। ঘটনার পরেরদিনই অনিককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে অনিককে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তবে আদালতে পৌঁছানোর পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হয় সে। পরবর্তীতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেরানীগঞ্জ কারাগারে পৌঁছে অনিক সরকারকে বহনকারী প্রিজনভ্যান। বন্দি গ্রহণের আনুষ্ঠনিকতা শেষে প্রধান ফটক দিয়ে কারাগারে নেওয়া হয় তাকে। এসময়ে নিজের সেলে ঢোকার সময়ই তার ওপর হামলে পরে ক্ষিপ্ত কারাবন্দীরা।

এ পরিস্থিতিতে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।

আবরার হত্যায় স্বীকারোক্তি দেওয়া বুয়েট ছাত্র অনিক সরকার রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে অনিক ছোট। অনিকরের পরিবারের পেট্রল পাম্প এবং সারের ডিলারশিপের ব্যবসাও রয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুরে হলেও ব্যবসায়িক কাজে পুরো পরিবার মোহনপুর উপজেলা সদরের বড়ইকুড়ি গ্রামে বসবাস করে। 
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে 
 

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত