ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

ক্যান্সারের উপাদান: বাংলাদেশে রেনিটিডিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত কি হবে?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:০০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বুক জ্বালাপোড়া তথা গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ রেনিটিডিনে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সম্প্রতি বিশ্ববাজার থেকে ওষুধটি তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী ব্রিটিশ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে)। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।

বাংলদেশে রেনিটিডিন গ্রুপের ওষুধ উৎপাদন করে ছোট বড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে ৭০টি ওষুধ কোম্পানির রেনিটিডিন গুপের ওষুধের উৎপাদন চলবে কি না তা নির্ধারণে আগামী রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জরুরি সভা ডেকেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রসঙ্গে বলেন, জিএসকে গতবছর বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসা গুঁটিয়ে নিয়েছে। তবুও বাজারে তাদের রেনিটিডিন থাকতে পারে। এ ওষুধগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হবে। তবে দেশীয় ৭০টি কোম্পানির রেনিটিডিন বাজার থেকে প্রত্যাহারের আগে সেগুলো সত্যিই জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আগামী রবিবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির (বিএপিআই) নেতাদের সভা ডাকা হয়েছে।

গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় একসময় মুড়ি-মুড়কির মতো চলত রেনিটিডিন ট্যাবলেট। নামিদামি থেকে নিয়ে ছোট খাটো সব ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ ট্যাবলেট উৎপাদন করত। রেনিটিড ও রেনিডিন ইত্যাদি হরেক নামে এখনো দেশের বাজারে ওষুধটি চলছে জোরে সেঙ্গই। বর্তমানে প্রতি পিস ট্যাবলেটের খুচরা মূল্য তিন টাকা।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী ব্রিটিশ সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় একসময় বহুল সেবনকৃত রেনিটিডিন ট্যাবলেটে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতির কারণে বিশ্ববাজার থেকে ওষুধটি তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ভারতের বাজার থেকেও রেনিটিডিন গ্রুপের ‘জ্যানটেক’ নামের ট্যাবলেট প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত