ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

কওমি মাদরাসার কিছু অবুঝ নাবালক ও কিছু বুড়ো গর্দভ

তামীম রায়হান

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ৪ নভেম্বর ২০১৮  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুগ যুগ ধরে কওমি সনদের স্বীকৃতি পাওনা ছিল লাখো কওমি শিক্ষার্থীর। এই স্বীকৃতির অভাবে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেও উচ্চশিক্ষা বা মাদরাসা বৃত্তের বাইরে কোনো চাকরির সুযোগ পাচ্ছিল না হাজারো শিক্ষার্থী। 

এই সরকারের আমলে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আলেমরা মিলে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। উপকারের বিনিময়ে ধন্যবাদ জানানোর এই খুবই স্বাভাবিক বিষয়টি নিয়ে 
বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা গত কদিন ধরে কওমি আলেমদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন দেখে মর্মাহত হচ্ছি। 

মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে আলেমদের এই উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছেতাই লিখে চলেছেন এক শ্রেণির রাজনৈতিক স্বার্থবাদী কর্মী। আর এঁদের উস্কানিতে উত্তেজিত হয়ে নিজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করছে কওমি মাদরাসার কিছু অবুঝ নাবালক ও কিছু বুড়ো গর্দভ। 

বড়দের বিরুদ্ধে কথা বলার এই অনুচিত সংস্কৃতি কওমি মাদরাসায় নেই। কিন্তু ফেসবুকীয় রাজনৈতিক উস্কানিদাতারা সুকৌশলে সেটি ছড়িয়ে দিচ্ছেন কওমি শিক্ষার্থীদের মধ্যে। 

কেউ ভাবছেন না, শুকরানা মাহফিলের পক্ষে-বিপক্ষে আমি বলার কে বা আমার বলেই বা লাভটা কী- কওমি মাদরাসার শীর্ষ নেতৃত্ব যেটা করছে, সেটা তাদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া ভালো। এর দায়, ফলাফল ও পরিণতি তারা আমার চেয়েও ভালো বুঝেন। এটুকু আনুগত্য কওমি মাদরাসার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

যারা আজ আলেমদেরকে নিয়ে উপহাস বা ঠাট্টা করছেন, তারা নিজেদের হীন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। সব বিষয়ে সবার কথা বলা উচিত নয়, এই সহজ কথাটি আজ আমরা ভুলতেই বসেছি।

লেখক: কাতার প্রবাসী সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গবেষক, মানবাধিকার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কাতার

নিউজওয়ান২৪/টিআর

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত