ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

`দোষারোপের রাজনীতি প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করবে`

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১৫, ৩ মে ২০১৪  

ঢাকা: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অপহরণ, গুম ও খুনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরকে দায়ী করার সংস্কৃতি জাতির জন্য হতাশাজনক বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। তাদের মতে, এতে একদিকে তদন্ত কাজ প্রভাবিত হবে,অন্যদিকে পার পেয়ে যাবে প্রকৃত অপরাধী।

 

দেশে সাম্প্রতিক খুন, গুমসহ আইনশৃঙখলা পরিস্থিতির জন্য জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করতে দেখা গেছে বর্তমান ও সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরে শ্রমিক সমাবেশে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। বিএনপি যে গুপ্তহত্যার জন্য দায়ী এতে কোনো সন্দেহ নেই।

 

অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, দেশে আজ কোনো মানুষ নিরাপদ নয়। সাদা পোশাকে মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে তার লাশ মিলছে রাস্তার পাশে, নদীতে। দেশে খুন-গুম-অপহরণ আওয়ামী লীগই করছে।

 

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

 

অপরাধীকে খুঁজে বের না করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করা প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস এন্ড সিকিউরিটিজ স্ট্যাডিজ –এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মুনিরুজ্জামান। রেডিও তেহরানকে তিনি বলেন, অপহরণ, খুন, গুমের ঘটনার প্রধান দায়দায়িত্ব সরকারের। প্রথমেই তাদের উচিৎ এসব ঘটনা বন্ধ করা। এরপর যারা এসব ঘটনায় দায়ী তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা। কিন্তু সরকার সেক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এবং ব্যর্থতার ঢাকতে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দায়ী করছে। এতে করে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং আইনশৃঙখলা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটতে পারে।

 

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, সারাদেশের মানুষ এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃত অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আর এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু বাংলাদেশে বাস্তবতা হলো, যে কোন ইস্যুতে রাজনীতিকরণ করা। গুম, খুনের ঘটনাতেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। এতে করে কেবল পরস্পরকে দোষারোপই হবে। আর প্রকৃত অপরাধী আড়ালে থেকে যাবে।

 

এসব ঘটনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার স্বপ্ন ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি স্বাধীনভাবে নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে তাহলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব।

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত