সৌদিতে তিন আত্মঘাতী হামলায় নিহত ৯
বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

মসজিদে নববীর সামনে বোমা হামলার পরের দৃশ্য
পবিত্র মাস রমজানের শেষলগ্নে সৌদি আরবে একইদিনে তিন স্থানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিন আত্মঘাতীসহ কমপক্ষে নয়জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছে।
এরমধ্যে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় মদিনায় মহানবীর (সা.) মসজিদ হিসেবে খ্যাত মসজিদে নববীর সামনে আত্মঘাতী বোমায় হামলাকারী ছাড়াও অন্তত চার নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে বন্দরনগরী জেদ্দায় মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে। সেখানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে বোমাবাজ এক পাকিস্তানি নিহত হয় এবং আহত হয় সৌদি দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। সেখানেও কাছেই ছিল একটি মসজিদ ও একটি হাসপাতাল। প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন অর্থাৎ চার জুলাই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস।
তবে সরকারি সংবাদ সংস্থা আলআখবারিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল তুর্কি জানান, বোমাহামলাকারী মার্কিন কনস্যুলেটের চেয়ে ওই মসজিদের বেশি নিকটবর্তী ছিল।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে উপসাগরতীরবর্তী শিয়াপ্রধান এলাকা কাতিফে, মদিনার ঘটনার কাছকাছি সময়ে। সেখানে একটি মসজিদের সামনে আত্মঘাতী বোমায় অন্তত তিনজনের খণ্ডবিখণ্ড দেহাবশেষ পাওয়া গেছে বলে জানায় সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৌদি টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়া জানিয়েছে, মাগরিবের নামাজের সময় মসজিদে নববীর পার্কিং এলাকার প্রধান নিরাপত্তা চৌকিতে এ হামলা হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, হামলাকারী দর্শনার্থীদের সঙ্গে পার্কিং এলাকা থেকে মসজিদে নববীর দিকে আসছিল।
সরকারি কর্মকর্তারা জানায়, এসময় জেদ্দার ঘটনার মতোই নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির পথরোধে এগিয়ে গেলে সে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার নিরাপত্তারক্ষী ও হামলাকারী নিহত হয় এবং আহত হয় পাঁচ কর্মকর্তা।
তবে আল আরাবিয়ার রিপোর্টার জানায়, আত্মঘাতী হামলাকারী নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ইফতার করার আগ্রহ দেখিয়ে তাদের পাশে আসে এবং পরে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রথমে একে সন্ত্রাসী হামলা মনে হয়নি। উপসাগরীয় অঞ্চলের রীতি অনুযায়ী তারা এটি ইফতারি শুরুর সংকেত ভেবেছিলেন।
জিয়াদ পাটেল নামের ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা ভেবেছি এটি ইফতারের জন্য ছোঁড়া কামানের গোলার শব্দ, যা শুনে আমরা রোজা ভাঙব। তবে মাটি বেশ জোরে দুলে উঠেছিল, চারপাশ কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল বিল্ডিং ধসে পড়বে।
‘আল্লাহর ঘর’ কাবা শরীফের পরে মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত ‘মসজিদে নববী’ বা ‘নবীর মসজিদ’।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে সৌদিতে আইএসের ধারাবাহিক হামলায় অনেকে হতাহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই শিয়া মতাবলম্বী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
গত বছর কাতিফে শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়। পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকার মসজিদগুলো ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।
বছরখানেক আগে অপর এক মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয় ১৫ জন।
নিউজওয়ান২৪.কম/এসআর
- পাকিস্তানি পরমাণু হামলা ঠেকাতে পারবে না ভারত: রুশ বিশেষজ্ঞ
- ইমরান খানের স্ত্রী শুকরের মাংস পাকান!
- কুয়েতে সীমিত আকারে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমোদন
- অভিযানে পিস্তল জ্যাম, দারোগা মুখে বললেন ‘ঠা ঠা’! (ভিডিও)
- ‘বিশেষ অঙ্গ’ বড় হওয়ায় আদালতে প্রেমিকার অভিযোগ!
- কে হবে শ্রেষ্ঠ ‘গাই সুন্দরী’!
- থাই-উপসাগরের তলায় শুয়ে আছে ফ্লাইটএমএইচ৩৭০!
- এবার সৌদিতে প্রকাশ্যে নারী নিগ্রহ
- যে তিন কারণে `মনহুশ` রাহুল!
- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র
- নেপালে পাহাড়ি এলাকায় কলেজবাস খাদে, নিহত ২১
- ‘সিমেন্টের ব্যাগ’-এ বিয়ের পোশাক!
- শান্তিমিশনে যৌন হয়রানি: ২ ভারতীয় সেনার শাস্তি
- মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে!
- পাপোষে হিন্দু দেবদেবী ও কোরানের ছবি: বিতর্কে অ্যামাজন