ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিসহ ১১০০ শ্রমিক কোয়ারেন্টাইনে

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ২২ এপ্রিল ২০২১  

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি শ্রমিকসহ ১১ জনের করোনা শনাক্তের পর একটি শ্রমিক আবাসনের ১১০০ শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। সরকারি একটি ভবনে তাদের ১৪ দিন আলাদা করে রাখা হবে বলে ওই আবাসন পরিচালনা কোম্পানি এক চিঠিতে জানিয়েছে।

যে আবাসনের শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে, সেটির নাম ওয়েস্টলাইট উডল্যান্ডস ডরমেটরি। সেঞ্চুরিয়ান কর্পোরেশন নামের একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেই আবাসনটির মালিক। আবসনটি পরিচালনাও করছে সেঞ্চুরিয়ান কর্পোরেশন।

সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, গত সোমবার রুটিন টেস্ট চলার সময় ওই আবাসনে বসবাসকারী ৩৫ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি শ্রমিক করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হন।

গত ১৩ এপ্রিল ওই শ্রমিক করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন। তার কক্ষের অপর শ্রমিকও করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।

সিঙ্গাপুরের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, সোমবারের নিয়মিত টেস্টে ওই আবাসনের মোট ১১ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তাদের ১০ জনই এর আগে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো আক্রান্ত হলেন তারা।

বুধবার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আক্রান্তদের দ্রুত আলাদা করে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজেসকে (এনসিআইডি) জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের একজন সংবাদকর্মী জানিয়েছেন, ওই আবাসন ভবন এলাকা থেকে ১০টি বাসে করে শ্রমিকদের সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি।

গত বছর করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে যে ৬০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশ হচ্ছেন দেশটিতে বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয় শ্রমিক। ওই সময় যেসব আবাসনে এই শ্রমিকরা থাকতেন, সেগুলোতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল।

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ফের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে জানিয়ে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সু লি ইয়াং এ শ্রমিকদের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে বলেন, “ঘটনাটা ধারণারও আগে ঘটল।’

নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর স্থানীয় ব্যপস্থাপনাতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল। সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রমিক আবাসনের বাসিন্দাসহ ১০ জনেরও বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পরে। এরপর থেকে আক্রান্তের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আবাসনের শ্রমিকদের বেশিরভাগই এখন দ্বীপ রাষ্ট্রটির বাকি জনসংখ্যা থেকে বিচ্ছিন্ন। কেবল কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমোদন আছে তাদের।

প্রবাসী দুনিয়া বিভাগের সর্বাধিক পঠিত