ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

‘সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপে খালেদার মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ২১ জুন ২০১৯  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিচার বিভাগের ওপর বর্তমান সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে সরকার হস্তক্ষেপ করছে না বলাটাই লজ্জাজনক। তাদের এ বক্তব্য প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই বেগম জিয়ার মুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিচার বিভাগের ওপর বর্তমান সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে।’

শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাও. আকরাম খাঁ হলে বিচার বিভাগে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ সমাবেশের আয়োজন করে।

খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে আমির খসরু বলেন, ‘সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে হস্তক্ষেপ করছে বলেই এমপি-মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত নিজেদের প্রোটেক্ট করতে বলে বেড়াচ্ছেন, তারা বেগম জিয়ার জামিনে হস্তক্ষেপ করছেন না। হস্তক্ষেপ যদি নাই করে থাকেন, তাহলে এমন প্রশ্ন আসে কেন?’

সরকার তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার লক্ষ্যে আদালতকে ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে কারাগারে আটক রেখেছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষের গণদাবি, বেগম জিয়ার মুক্তি এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গে সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। এমনকি সুশীল সমাজের ওপরও নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সবাই কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। কথা বললেই খুন-গুম ও হামলা-মামলায় জড়িয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।’

‘এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, এটা যেমন সকলের কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, ঠিক তেমনি খালেদা জিয়াকে যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে সেটাও সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিষ্কার,’ বলেন আমির খসরু।

বিচার বিভাগ প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘মানুষের বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা ও বিচার বিভাগের ওপর থেকে আস্থা উঠে যাওয়ার চাইতে বড় ধরনের কোন সমস্যা একটি দেশে হতে পারে না। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগ। আর সেখানে হস্তক্ষেপ করা হলে মানুষ খুব কষ্ট পায়। জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।’

প্রতিবাদী যুব সমাবেশে আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবিরা নাজমুল, নিপুন চন্দ্র রায় চৌধুরী, তাতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

নিউজওয়ান২৪.কম/আ.রাফি

আরও পড়ুন