ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

শীতে বিছানাতেই লুকিয়ে গলা ব্যথার কারণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২০, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শীতের সকালে ঘুম ভাঙার পরেই বুঝলেন যে, আপনার গলায় ব্যথা৷ ঢোক গেলার সময় কষ্ট হচ্ছে৷ অথবা, মনে হচ্ছে, গলায় যেন কিছু একটা বিঁধে রয়েছে৷ 

অথচ, ঘুমাতে যাওয়ার আগেও এই ধরনের কোনো সমস্যা ছিল না আপনার৷ তাহলে কোন কারণে এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হলেন আপনি?

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কখনো ঠাণ্ডা, কখনো আবার গরম৷ শীতের সময় আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার কারণেই জীবাণুদের বাড়বাড়ন্ত হয়৷ যে কারণে গলার সংক্রমণ বাড়ছে৷ যার পরিণতি গলায় ব্যথা৷ শীতের সময় এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্তদের সংখ্যাও বাড়ছে৷ একই সঙ্গে অবশ্য ওই সব চিকিৎসক বলছেন যে, সতর্ক থাকলেই শীতের সময় সুস্থ থাকাটা অসম্ভব কোনো বিষয় নয়৷

কেননা, শীতের মৌসুমে সাধারণত সুস্থ থাকা যায়৷ যদিও শিশু, বয়স্ক এবং অ্যাজমাসহ অন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে আক্রান্তদের জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি সতর্ক থাকা জারুরি৷ তবে শীতের সময় সাবধান না থাকলে যে কোনো বয়সি-ই যে সর্দি-কাশির সমস্যায় আক্রান্ত হবেন না, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই৷

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার সঙ্গে বিছানা এবং চাদর-লেপ-কম্বল অথবা অন্য কোনো শীতবস্ত্রের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জীবাণুরাই আচমকা এই গলায় ব্যথার জন্য দায়ী বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷ ইচ মাইট নামে ওই জীবাণু স্বরযন্ত্রে প্রবেশ করার কারণে আচমকা এভাবে গলায় ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়৷ ওই সব চিকিৎসক বলছেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে জীবাণুরা সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ এর সঙ্গে ঘরের ধুলাকণার জন্যও সমস্যা বেড়ে যায়৷ বিছানার মধ্যে বাসা বাঁধে ইচ মাইট৷

যে কারণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকাটাও গলা ব্যথার কারণ৷ শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে দরজা, জানলা বন্ধ রেখে দেওয়ার কারণে স্বাভাবিক কারণে ঘরে হাওয়া চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ নিয়মিত রোদ না পাওয়ায় চাদর-লেপ-কম্বল অথবা অন্য কোনো শীতবস্ত্রের ভেতর লুকিয়ে থাকা ইচ মাইট স্বরযন্ত্রে প্রবেশ করে রোগের বিস্তার ঘটায়৷ এই ধরনের সমস্যার জন্য বায়ুদূষণের কারণও দায়ী রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক৷

তবে শুধু আবার আচমকা গলার ব্যথাও নয়৷ এই একই কারণে হতে পারে খুশখুশে কাশি৷ ওই কাশির জন্য আবার গলা বসেও যেতে পারে৷ এমনকি, জ্বর জ্বর ভাব অথবা জ্বর কিংবা সর্দি লাগার উপসর্গ হিসেবে নাক দিয়ে পানিও বের হতে পারে৷ তাহলে এই ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কী কী করণীয়?

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ঘরে যাতে নিয়মিত আলো-বাতাস পৌঁছায়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে৷ কভার পরিয়ে চাদর-লেপ-কম্বল অথবা অন্য কোনো শীতবস্ত্রের ব্যবহার করতে হবে৷ খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে৷ বাইরের ধুলার থেকে ঘরের ধুলা অনেক বেশি ক্ষতিকর৷ যে কারণে বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড় এবং লেপ-কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র সপ্তাহে অন্তত একদিন ফুটন্ত পানিতে কাচতে হবে৷

শোওয়ার ঘরে কার্পেট রাখা উচিত নয়৷ পোষ্য হিসেবে কুকুর, বিড়াল, পাখি এবং কোনো বনসাই শোওয়ার ঘরে রাখা উচিত নয়৷ একই রকমভাবে তাপমাত্রার তারতম্যও সামলাতে হবে, বাইরের খুব গরম থেকে ঘরের বা অফিসের ভেতরে এয়ার কন্ডিশনারে ঘনঘন যাতায়াত বন্ধ করতে হবে৷ খাওয়ার অব্যবহিত পরেই শুতে যাওয়া উচিত নয় বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা৷

সূত্র: কলকাতা ২৪x৭

সমৃদ্ধির বাংলাদেশ/আরএডব্লিউ

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত