ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

মুশতাকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি ডা. জাফরুল্লাহর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, গতকাল কাশিমপুর কারাগারে ডিজিটাল আইনে কারাবন্দি মুক্তচিন্তার লেখক মুশতাক মারা গেছেন। তার মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে, বলতে হবে আমাদের ভুল হয়েছে। মোস্তাকের পরিবারে ৫০ লাখ টাকা এখনই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এ সময় তিনি ডিজিটাল আইনকে কবরে পাঠানোর সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ (শুক্রবার) সকালে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদে মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের  সাধারণ সভা ও জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, একটা জাতি কতটা সভ্য, কতটা ন্যয়ভিত্তিক তা নির্ভর করে কৃষক ও শ্রমিকের সঙ্গে তাদের ব্যবহারের উপর। কয়েক বছর আগে খুলনা গিয়েছিলাম, তখন জুটমিল শ্রমিকরা আন্দোলন করছিল, শীতের মধ্যে কষ্টের জীবন যাপন করছিল। তাদের জন্য বেশি কিছু করতে পারিনি, কিন্তু সেই স্মৃতি এখনো ব্যথা দেয়। আপনারা শ্রমিকরাই হলেন দেশ গড়ার কারিগর, আপনাদের সৃষ্টির উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ। আজকে যত বৈভব, যত বড় বড় স্বপ্ন তার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে আপনাদের।  

ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, আপনাদেরকে একটা কথা বলতে চাই, আপনারা আমাদের চিফ ইলেকশন কমিশনারকে যিনি গণতন্ত্রের সিরিয়াল কিলার একটা দাওয়াত দিতে পারতেন। তিনি অন্তত দেখতে পারতেন কি করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করতে হয়। গণতন্ত্রের প্রতি আপনাদের অগাধ শ্রদ্ধা। কোনো সভ্য দেশে শ্রমিকদের সাথে এরূপ আচরণ করা হয় না। আজকে আপনারা না থাকলে বাংলাদেশ নেই। এই ৯৫ ভাগ মানুষ কেউ নেই। আপনাদের দশ দফা দাবি শুনছিলাম৷ কোনো সভ্য দেশে পাওনা না দিয়ে বিদায় করা হয় না। বরং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় এবং এই কাজগুলো করা খুব সহজ।

তিনি বলেন, আপনাদের কাছে থেকে মাত্র মাসিক ১০০ টাকা নিয়ে আপনাদের পুরো পরিবারের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোনো শ্রমিকের যদি মৃত্যু হয় তাকে ৫০ লাখ টাকার বিমা দেওয়া কোনো কঠিন কাজ না৷ দেশের বাইরে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে তাদের দেখভাল করা রাস্ট্রের দায়িত্ব। গত কয়েক বছরে শুধুমাত্র কাতারেই হাজারের উপর শ্রমিক মারা গিয়েছে। তাদের প্রত্যককে ৫০ লাখ টাকা কিরে দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য।

সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মোখলেসুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপ পরিচালক হাফিজ আহমেদ মজুমদার, শ্রমিক নেতা জাকির হোসেন, আ. হাকিম, আম্বিয়া খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনি, গোলাম কাদের, নারী কমিটির সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, যুব কমিটির সভাপতি এম এম আই সবুজ খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন