ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

পুনর্নির্বাচনের সুযোগ নেই: প্রো-ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১২ মার্চ ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বলেছেন, যে যাই বলুক, যে দাবিই উত্থাপন করা হোক না কেন, নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের তফসিলের কোনো সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রো-ভিসি বলেন, দেশের মানুষ ডাকসু নির্বাচন দেখেছে মিডিয়ার মাধ্যমে, মিডিয়া সাক্ষী। দুইটা হলের মধ্যে একটাতে সামান্য অনিয়ম হয়েছে। আমরা সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। আরেকটা হলে অনিয়ম বলবো না হাঙ্গামা হয়েছে। কাজেই ডাকসু নির্বাচন যারা বর্জন করেছে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে নির্বাচন বাতিল করার এখন কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না।

ড. আব্দুস সামাদ বলেন, কুয়েত মৈত্রী হলে রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনায় আমাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি কালই ঘটনাস্থলে গেছি। আজ সকাল ১০টায় কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসে মিটিং করেছি। ঘটনাস্থলে ফের পরিদর্শন করেছি। হলের সাবেক ও বর্তমান প্রোভোস্ট, রিটার্নিং কর্মকর্তারা তদন্তের প্রাথমিক কাজ এগিয়ে নিয়েছে। আমরা যথা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ভিসির কাছে হস্তান্তর করবো।

ছাত্রলীগ বাদে সবাই নির্বাচন বয়কট করেছে। ভোরে ফলাফল ঘোষণা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। পরাজিত হলে প্রতিক্রিয়া তো আসবেই। অনিয়মের ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা তো নিয়েছি। আর ফলাফল তো হাতে নয়, মেশিনে গণনা হয়েছে, সুতরাং কারচুপি বা অনিয়মের সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগ ছাড়া বামজোটসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মঙ্গলবার ধর্মঘট এবং ক্লাস বর্জনের ডাক দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। তিনি ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট। সোমবার দিবাগত রাতে এ ফল ঘোষণা করেন ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়।

নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৩ জন। এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ 

নিউজওয়ান২৪/ইরু

আরও পড়ুন