ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

পুলিশ সেজে-যাত্রীবেশে গাড়ি অপহরণ করত এরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ২৩ আগস্ট ২০১৯  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুর থেকে প্রাইভেটকারসহ অপহরণের চার দিন পর দুর্গম চর এলাকা থেকে ভুক্তভোগী এনায়েত উল্লাহকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় অপহরণকারীর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

নতুন গাড়ি-প্রাইভেটকার দেখলেই চালককে টার্গেট করা ছিল অপহরণকারীদের প্রথম ধাপ। এরপর ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে কিংবা সুকৌশলে ভাড়া নিয়ে যাত্রীবেশে উঠে গাড়ি অপহরণ করত তারা। 

পদ্মা নদী পাড় হয়ে কাঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশ পরিচয়ে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামানো হয়। থামতেই গাড়িসহ মহাসড়ক থেকে অপহরণ করা হয় এনায়েত উল্লাহকে। পরবর্তীতে গাড়ি বাদেই মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে অপহৃত এনায়েত উল্লাহ (৩২) সম্পর্কে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হোসেন।

মঙ্গলবার ওই মোবাইল ফোন নাম্বারের জের ধরে ৫২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিমকে মুক্ত ও ফরিদপুর থেকে প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে র‍্যাব। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাহ জালাল (৩২), ফয়সাল (২২), জয়নাল হাজারী (৩০), রাকিব (২২)।

অপহরণের বর্ণনা দিয়ে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, চার দিন আগে মিরপুর এলাকা থেকে ২ জন লোক যাত্রীবেশে এনায়েত উল্লাহর গাড়ি ভাড়া করে। রাত আনুমানিক ২টার দিকে এনায়েত উল্লাহ গাড়ি নিয়ে পদ্মা পাড় হয়। গাড়ি কাঠালবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেখানে মহাসড়কে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সিগন্যাল দেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়দানকারী ভুয়া তিন সদস্য।

ভুক্তভোগী এনায়েত উল্লাহ

তিনি বলেন, এই অপরাধী চক্রের তিন সদস্য সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। পরে ভিকটিমকে মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়া চর এলাকার কাশবন এর পাশে একটি ছোট ঘরে আটকে রাখে। প্রাইভেটকারটি ফরিদপুরের আটরশি জাকের মঞ্জিলের পার্কিংয়ে রাখে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অপরাধী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমের বাড়িতে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, না হলে তাকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় ভিকটিমকে পিটিয়ে তার বাবা মার কাছে ফোন দিয়ে কান্নার শব্দ, চিৎকার শোনায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা জানায়, ভিকটিমকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে, মৃত্যুর ভয় দেখায়। পরে তাকে ও গাড়িটি পৃথকভাবে পূর্বনির্ধারিত নিরাপদ স্থানে রাখে।

শারীরিক অত্যাচার করে ভিকটিমের বাবা-মা আত্মীয়দের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এর আগেও তারা এইভাবে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়েছে বলে স্বীকার করে।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

নিউজওয়ান২৪.কম/আ.রাফি

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত