ঢাকা, ০১ নভেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
টানা পাঁচদিন বৃষ্টির আভাস মুসলিম বিশ্বকে ‘ন্যাটো-ধাঁচের’ নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে চীন

অভিযান শেষ, সেনাসদরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১২:১০, ২ জুলাই ২০১৬   আপডেট: ১১:১২, ২৫ জুলাই ২০১৬

ঢাকা: কমান্ডো অভিযানে শেষ হয়েছে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে জিম্মি সংকট পরিস্থিতি। সবশেষ পাওয়া তথ্যমতে অন্তত ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই ভবনের ভেতরে যে পাঁচটি বা সাতটি মরদেহ পড়ে থাকার কথা জানা গেছে সেগুলো জিম্মিদের না হামলাকরীদের- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জিম্মি উদ্ধারে সেনাবাহিনী, সোয়াত, পুলিশ, র্যা ব, বিজিবির সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়। তবে মূল অভিযানে ছিল সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো দল। এ অভিযানে সাঁজোয়া যানও অংশ নেয়। এই বাহনগুলি হলি বেকারির দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। পরে সেখানে দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন কমান্ডোরা।

জিম্মি উদ্ধার বা জঙ্গি আটকের পুরো ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না এখন পর্যন্ত যেহেতু এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য এখনও কর্তৃপক্ষ। ঠিক কতজন মারা গেছে তা নিশ্চিত করে কেউ না বললেও ঘণ্টাব্যাপী ওই কমান্ডো অভিযান শেষে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইজিপি একেএম শহীদুল হক জানান, ১৮ জন সেইফ।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সূত্র দাবি করেছে, রেস্টুরেন্টের ভেতরে বেশ কয়েকজন বিদেশির জবাই করা লাশ পাওয়া গেছে।

এদিকে, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে জানান, পূর্ণাঙ্গ তথ্যের জন্য আজ (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় সেনা সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

তবে সবশেষ জানা যায়, ওই সংবাদ সম্মেলন দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে।

আর্টিজান বেকারি নামক স্প্যানিশ ওই রেস্টুরেন্টে জঙ্গিদের হাতে আটক দেশি-বিদেশি জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান শুরু হয় শনিবার সকাল সাতটা ৪০মিনিটে। এরপর ওই ভবনের ভেতর শুরু হয় মুহুর্মুহু গুলি আর শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ।

ঘটনার সময়ে গুলশানে অবস্থানকারী লোকজনের তথ্য মতে- কমপক্ষে হাজারখানেক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায় এসময়।

তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই শেষ হয় অভিযান।

অভিযানের শুরুতেই কমান্ডোরা নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে আনেন।
গতকাল (শুক্রবার) রাতে গুলশান-২ এর হলি আর্টিজান বেকারি নামক স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হামলা ও প্রায় ২০ জন বিদেশি সহ ৩০/৩৫ জনকে জিম্মি করে অজ্ঞাত পরিচয় জঙ্গিরা।

এ ঘটনায় জঙ্গি-পুলিশ গোলাগুলিতে বনানী থানার ওসি সালাউদিন ও ডিবির এসি রবিউল ইসলাম নিহত হন। আহত হন জাপানি নাগরিকদের গাড়িচালকসহ র্যা ব-পুলিশের ২০ জন। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার শরীরেই শক্তিশালী বোমার স্লিন্টার আঘাত হেনেছিল বলে জানায় সূত্র। রাত সাড়ে দশটার দিকে সন্ত্রাসীরা ওই বোমাটি (কারও কারও মতে গ্রেনেড) ছুড়ে মারে রেস্টুরেন্টের বাইরে। সেসময় কমপক্ষে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

না প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের মতে, আসলে বাইরে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তখন পর্যন্ত কল্পনাও করতে পারেননি রেস্টুরেন্ট দখলকারীরা এমন ভয়াবহ কিছু করতে পারে। সম্ভবত এ কারণেই তাদেরকে অসহায়ভাবে বোমার টার্গেট বানাতে পেরেছে জঙ্গিরা।

এদিকে সকালে অভিযান শুরুর আগে গভীর রাতে সোয়াট কমান্ডোদের অভিযানে এক আর্জেন্টাইন নাগরিকসহ দুজনকে অক্ষত উদ্ধার করা হয়।
নিউজওয়ান২৪.কম/এসআর

জিম্মি উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান শুরু, ব্যাপক গোলাগুলি

‘গুলশান সংকটের’ আরেক বলি হলেন ডিবির এসি রবিউল

গুলশানের ঘটনায় বানানী থানার ওসি সালাউদ্দিন নিহত

গুলশানে ‘জঙ্গিদের’ গুলিতে ৪ পুলিশ আহত, জিম্মি কয়েক বিদেশি

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত