ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

হামলার জন্য তাঁতিয়ে আছেন ট্রাম্প, অপেক্ষা সৌদি ‘গ্রিন সিগন্যালের’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সৌদি আরবের দুটি তেলক্ষেত্রে হামলায় জড়িতদের শায়েস্তা করতে দেশটির ‘সম্মতির’ অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতাল রবিবার সন্ধ্যায় এক টুইটে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন হামলার পেছনে কারা জড়িত যুক্তরাষ্ট্র তা জানে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হামলার জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করেছেন। কিন্তু ইরানের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সৌদি আরবের তেল উৎপাদনকারী আরামকো গ্রুপের ওই দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ।

এদিকে, রবিবারের টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘সৌদি আরবের তেল সরবরাহ আক্রান্ত হয়েছে। অপরাধী কারা আমরা যে জানি সেটা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর হামলার জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু সৌদি শাসকদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় আছি কারা হামলায় জড়িত বলে তারা মনে করে? তার ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এর আগে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, শনিবার ভোর ৪টার সময় দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় তেলসমৃদ্ধ এলাকার আবকাইক ও খুরাইস এলাকায় ড্রোন হামলার কারণে আগুন ধরে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দুটি স্থানের আগুনই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বৃহত্তর তেল রপ্তানিকারক কোম্পানি আরামকো বলছে, তেল স্থাপনা আক্রান্ত হওয়ায় দৈনিক ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন তেল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে; যা সৌদির মোট তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক।

আরও পড়তে ক্লিক করুন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের জবাবে পুরোমাত্রার যুদ্ধের হুমকি ইরানের

অপরদিকে, সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। গত শনিবার সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যেই সেখানে যুদ্ধপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অপরদিকে, বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত তেলক্ষেত্র দুটির উৎপাদন শুরু হতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট

শনিবার ড্রোন হামলায় সৌদি তেলক্ষেত্র দুটির ব্যাপক ক্ষতির কারণে বৈশ্বিক তেল সরবরাহ ৫ শতাংশ কমে গেছে। সোমবার আইরিশ টাইমস.কম এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ২০% বেড়ে গেছে অপরিশোধিত তেলের দাম।

তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র খুরাইসে কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে এটা ইরানেরই কাজ। তবে ইরানও অস্বীকার করছে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ। এখন মজবুত কোনো প্রমাণই নিশ্চিত করতে পারে হামলাকারী আসলে কারা। কিন্তু তার আগে নয়া কোনো সংঘাত বেঁধে গেলে তা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে  পারে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল। 
নিউজওয়ান২৪.কম/এএস

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত