ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের যে ভুলগুলো...

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ১৪ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

 

বর্তমানে পিরিয়ডের সময়টুকুতে সব নারীই নানা ব্র্যান্ডের পছন্দমত ও সুবিধামত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকেন। 

এটি যথেষ্ট আরামদায়ক এবং যে কোনো পরিবেশে রাখে স্বচ্ছন্দ্য, পরিষ্কার ও নিরাপদ। তবে অজান্তেই অনেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সময় কিছু ভুল করে থাকেন। যেগুলো বয়ে আনতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। 

চুলকানি, র‍্যাশ, ত্বকের নানান অসুখ থেকে শুরু করে হতে পারে ক্যান্সার পর্যন্ত। এই রোগগুলো হতে মুক্তি পেতে একমাত্র উপায় সচেতনতা ও সাবধানতা। তাই জেনে নিন পিরিয়ড হলে ন্যাপকিন ব্যবহার যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

(১) ন্যাপকিন ধরার আগে হাত না ধোঁয়া:

ন্যাপকিন ধরার আগে অনেকেই হাত ধোঁয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না। কিন্তু হাত না ধুঁয়ে ন্যাপকিন ধরার কারণে হাতে থাকা নানা ধরনের জীবাণু প্যাডে লেগে যায় এবং সেখান থেকে জরায়ুতেও প্রবেশ করতে পারে।

(২) বাথরুমে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা:

অনেকেই আছেন যারা ন্যাপকিনের প্যাকেট বাথরুমেই রেখে দেন। বাথরুমে/টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার ফলে হয়তো প্রয়োজনের সময় সেটি কিছু সময় বাঁচায়। কিন্তু টয়লেটে থাকা নানা ধরণের জীবাণু দ্বারাও সেটি দ্রুত আক্রান্ত হয়। আর সেই জীবানুযুক্ত প্যাড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

(৩) মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ খেয়াল না করা:

মেয়েরা সাধারণত বাইরের প্যাড কিনতে গেলে তাড়াহুড়ো করে নিয়ে আসে। মেয়াদ বা অন্যকিছু খেয়াল করে না। মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ খেয়াল না করার ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়।

(৪) ছাড়ের সময় পণ্য কেনা:

ছাড়ের সময় সেই পণ্যগুলোই বিক্রি করা হয় যেগুলো অনেক দিন মজুদ আছে, কোন ত্রুটির কারণে বিক্রি করা যায়নি কিংবা খারাপ মানসম্পন্ন বা মেয়াদোত্তীর্ন। তাই স্বাস্থ্যের জন্যে সংবেদনশীল একটি পণ্যের ব্যাপারে এই ঝুঁকি নিয়ে ছাড়ের পণ্য কিনতে যাবেন না।

(৫) কম দামি বা ফ্রি পাওয়া ন্যাপকিন ব্যবহার:

কম দামি বা নতুন ব্র্যান্ডের অন্য কোনো পণ্যের সঙ্গে ফ্রি পাওয়া স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের আগে ভাবুন। কতটা সস্তা কাঁচামাল ব্যবহারের কারণে তারা এটি এতো সস্তায় হাতে তুলে দিতে পারছে এবং সেটি ব্যবহার আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা!

(৬) সুগন্ধীযুক্ত বা ঔষধযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার:

সুগন্ধীযুক্ত, ঔষধযুক্ত বা রঙ্গিন প্যাড ব্যবহার অনেক নারীর পছন্দের বিষয়। সুগন্ধিযুক্ত প্যাড ব্যবহার করতে অনেকেরই ভালো লাগতে পারে। কিন্তু এতে যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, তা মারাত্বক ক্ষতিকর হতে পারে। জরায়ুতে প্রবেশ করে এ থেকে ক্যান্সারও হতে পারে।

(৭) একটি ন্যাপকিন সারাদিন ধরে ব্যবহার:

উচ্চ শোষনক্ষমতা সম্পন্ন ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন বা রক্তপাত কম হচ্ছে বলেই সারাদিন একটি প্যাড পরে থাকবেন না। রক্ত বেশিক্ষণ জমে থাকার ফলে সেখানে জীবাণু জন্ম নেয় এবং সেটি দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হবেন। যতো ভালো মানেরই হোক না কেনো ছয় ঘণ্টার বেশি একটি প্যাড রাখবেন না।

(৮) ন্যাপকিন বদলানোর সময় অসতর্কতা:

আগের ন্যাপকিনটি বদলে যখন নতুন ন্যাপকিন ব্যবহার করছেন, তার আগে ভালোভাবে হাত ও গোপনাঙ্গ পরিস্কার করে ধুঁয়ে মুছে নিন। প্রয়োজনে জীবানুনাশক ব্যবহার করুন। তারপর নতুন ন্যাপকিনটি পরে নিন। যাতে নতুনটিতে জীবাণু প্রবেশ না করে।

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত