ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

স্বাধীনতার মাসে রেমিট্যান্স এলো ১৯১ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ২ এপ্রিল ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

স্বাধীনতার মাস মার্চে তারা ১৯১ কোটি ডলার (১.৯১ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধ‌রে) এর পরিমাণ ১৬ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত বছর মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৭ কোটি ডলার। 

আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত রেমিট্যান্সের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। 

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনাকালে বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। এছাড়া মহামারিকালে অনিশ্চয়তার কারণে প্রবাসীরা জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছেন। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। মজবুত হচ্ছে অর্থনীতির ভিত। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা)। রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সবশেষ ১৬ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ৪৩.০৯ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০৯ কোটি ডলারে বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। ১৪৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি  ডলার। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমেও বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসে। তবে মর্চে শুধুমাত্র বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে এসেছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময় প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত