ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

যেন `ভূত এফএম`-এর গল্প!

সাতরং ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:০০, ১৯ জুন ২০১৬   আপডেট: ০৪:০৬, ১১ জুলাই ২০১৬

মন্দির থেকে বেরিয়ে ভুলেও আর পেছন ফিরে তাকাবেন না...

মন্দির থেকে বেরিয়ে ভুলেও আর পেছন ফিরে তাকাবেন না...

ভূত আছে কি নেই এ নিয়ে তর্কের শেষ নেই। তবে ভূত বিষয়ক আগ্রহে মানুষের কমতি নেই। হলিউড-বলিউডের অনেক সুপারহিট মুভি আছে ভূত বিষয়ক। আর দেশে একটি এফএম রেডিওতে ‌`ভূত এফএম` নামের ভূত বিষয়ক অনুষ্ঠান সুপার-ডুপারহিট পর্যায়ে চলছে।

ভূত বিষয়ক দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান হয় আমাদের টিভিতেও। তো সেসব অনুষ্ঠানে বর্ণিত কাহিনীর সত্যাসত্য নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলেও অনুষ্ঠানগুলোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে না। যদিও বয়ান করা ঘটনাগুলো সরাসরি চাক্ষুষ করার সুযোগ থাকে না।

তবে এবার ভারতের রাজস্থানের দৌশা জেলার মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরে গেলে আপনি ভৌতিক অভিজ্ঞতা চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে এইসময় নামের নিউজেপার্টাল। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা দাবি করে রাজস্থানের মরুরাজ্যের ওই অদ্ভুত মন্দিরে গেলে যারা ভূত বিশ্বাস করেন না তাদের দীর্ঘদিনের সমস্ত বিশ্বাস উল্টেপাল্টে যেতে পারে। সেই মন্দিরে এখনও ডাকিনী বিদ্যার চর্চা চলে।

পত্রিকাটি লিখেছে, ‍"তবে মেহেন্দিপুরের বালাদি মন্দিরের ভেতরে ঢোকা অত সহজ নয়। রীতিমত নার্ভের জোর না থাকলে এই মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টাও করবেন না। মানসিকভাবে দুর্বল হলে এই মন্দির থেকে হয়তো আর কোনওদিন বেরিয়ে আসতে পারবেন না।

প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত এই মন্দিরের ভেতরে ঢোকার জন্য ভিড় করেন। তবে গোটা মন্দির পরিক্রমার আগেই প্রাণভয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন অধিকাংশই। কী আছে সেখানে?

এই মন্দিরে তিনটি বিগ্রহের পুজো হয়। বালাজি বা বজরঙ্গবলি, প্রেত রাজ এবং কাল ভৈরব। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে কারোর ওপর অশুভ শক্তি ভর করলে এই মন্দিরে তা দূর করা সম্ভব। প্রচণ্ড গরমেও মরুরাজ্যের এই গ্রামে ঢুকলেই ঠাণ্ডা কনকনে হাওয়া আপনাকে কাঁপিয়ে দিয়ে যাবে। স্বাভাবিক জীবন যেন এই গ্রামের বাইরে থমকে গিয়েছে। আর একবার এই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলে আপনি আধুনিক জীবনের অস্তিত্বই ভুলে যাবেন।

রাত তিনটে থেকে মন্দিরের ঢোকার জন্য লাইন শুরু হয়ে যায়। আর এই ভীড় এমন ভয়ানক যে, যে কোনও সময় আপনি পদপিষ্ট হয়ে মারা যেতে পারেন।

সকাল বেলায় মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ভেতরে ঢোকার হুড়োহুড়ি। যদি সেই প্রচণ্ড ভীড়ের ধাক্কা সহ্য করে আপনি থাকতে পারেন, তাহলে বেশ কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষার পর মন্দিরের ভেতরে ঢুকতে পারবেন।

মন্দিরে পুজোর উপকরণ হিসেবে কোনও ফুল নয়, খাওয়ার অযেগ্য কালো রঙের এক ধরনের বল দেওয়া হয়। মন্দিরের ভেতরে সব সময় জ্বলতে থাকা আগুনে এই বলের আহুতি দিতে হয়।

মন্দিরের ভেতরে চারটি বড় হল ঘর রয়েছে। অন্য যে কোনও মন্দিরের মতো ভেতর থেকে মন্ত্রোচ্চারণ, ঘণ্টাধ্বনি আপনার কাছে ভেসে আসবে না। আপনাকে স্বাগত জানাবে কানফাটানো তীক্ষ্ণ চিতকার, কান্না।

ভূতে বিশ্বাস না করলেও এই মন্দিরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার গা ছমছম করবেই। মন্দিরের ভেতরের প্রথম ঘরে কাল ভৈরবের মূর্তি রয়েছে। সেখানেই জ্বলতে থাকা আগুনে ছুঁড়ে দিতে হবে কালো বল। এরপরের ঘরে হনুমানজি। তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে যান তৃতীয় ঘরের দিকে। এখান থেকে দম চাপা ভয় আপনাকে ঘিরে ধরবেই।

এই ঘরে দেখবেন, বহু নারী-পুরুষ অসহায় ভাবে কাঁদছে, দেওয়ালে মাথা ঠুকছে। এমনকি অনেকে নিজেই নিজের গায়ে ফুটন্ত গরম জল ঢালছে। এই ঘরের ভয়াবহ ছবি পরেও বহুদিন পর্যন্ত আপনাকে তাড়া করে বেড়াবে। এর পরের ঘরে আরও কিছু ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে। যারা মানসিকভাবে দুর্বল, এখান থেকে ছোট একটি দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারেন। এই পর্যন্ত এসে বেশিরভাগই ভয়ের চোটে পালিয়ে যায়। শেষ ঘরটিকে নরকের দ্বার বলা যেতে পারে।

দেখবেন বহু নারী, পুরুষ, শিশু পাথরে, ঘরের পিলারে মোটা চেন দিয়ে বাঁধা। এদেরকে নৃশংস ভাবে মারা হচ্ছে। মনে হয় যেন এরা দীর্ঘদিন কিছু খায়নি। কিন্তু ভুলেও সে কথা কাউকে জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার জন্য ভয়ানক কোনও বিপদ অপেক্ষা করে থাকতে পারে। বলা হয় এদের ওপর থেকে অশুভ শক্তির প্রভাব কাটানোর চেষ্টা চলছে।

মন্দির থেকে বেরিয়ে ভুলেও আর পেছন ফিরে তাকাবেন না। কারণ, মনে করা হয় এই মন্দিরে ঢুকলেই অশুভ শক্তি আপনার পিছু নেবে। পেছন ফিরে তাকালেই তারা আপনাকে কব্জা করে ফেলবে। এমনকি এই গ্রামের কোনও কিছু খাবেন না, জলও না। সঙ্গে প্রার্থনা করবেন যেন জীবনে এই মন্দিরে আপনাকে ফিরে আসতে না হয়।" সূত্র: এইসময়.ইন্ডিয়াটাইমস

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএল

অর্থ-কড়ি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত