ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

সুনামগঞ্জে ৫৪ পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে দিলেন আদালত

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সুনামগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত স্বামীদেরকে কারাগারে না পাঠিয়ে পৃথক ৫৪টি মামলা আপোষে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। 

তবে আরো ১১টি মামলায় অভিযুক্ত স্বামীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ (সোমবার) দুপুরে একসঙ্গে ৬৫টি পৃথক মামলার দেয়ার রায়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পাইবল প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার পর আদালতের পক্ষ থেকে ৫৪ দম্পতিকে ফুল দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, যৌতুকসহ নানা কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ও সংসার থেকে বিতাড়িত হয়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৬৫ জন নারী তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে আদালতে মামলা করেছিলেন। দীর্ঘদিন এসব মামলার বিচারকাজ চলছিল। নির্যাতনের শিকার হয়ে নারীরা তাদের ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অনিশ্চিত জীবন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদেরকে অনিশ্চিতয়তার থেকে ৫৪ স্ত্রীকে মুক্তি দিতে সন্তানদের তাদের বাবার পারিবারিক বলয়ে আবদ্ধ করে ব্যতিক্রমী আপসের রায় দিলেন বিচারক। বিচারক উভয়ের পক্ষের বক্তব্য শুনে তাদের এবং তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য ৫৪ দম্পতিকে পারিবারিক পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করে দিলেন।

বাকি ১১টি পরিবারকে একত্রিত করতে না পারায় অভিযুক্ত স্বামীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। স্বামীদের বিরুদ্ধে তাদের নির্যাতিত স্ত্রী ও স্ত্রীদের সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।

আপসে নিষ্পত্তি হওয়া মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষের স্বজনদের দাবি, সংসার থেকে বিতাড়িত ছোট ছোট সন্তানাদি নিয়ে ওই নারীদের জীবন ছিল চরম দুর্দশাগ্রস্ত।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন, আদালত পৃথক ৬৫ টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলায় রায় দিয়েছেন। ১১টি মামলায় অভিযুক্ত স্বামীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। তবে ৫৪টি মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে আপসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এর আগেও তিনি এমন যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। এভাবে যদি বিচারকার্য চলে এবং মামলার নিষ্পত্তি হয় তাহলে বিচার ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ তাদের সুবিচার পাবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ নভেম্বর একই আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন একদিনে পৃথক ৪৭টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় ৪৭টি পরিবারকে আপসের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তার এ রায়ে এনিয়ে মোট ১০১টি পরিবার ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেল।
 

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত