রুশ রাষ্ট্রদূতকে গুলি করে হত্যা করলো তুর্কি পুলিশ সদস্য!
বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

মাটিতে পড়ে আছেন গুলিবিদ্ধ রুশ রাষ্ট্রদূত কার্লভ -এএফপি
‘তুর্কিদের চোখে রাশিয়া’ শিরোনামের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে দর্শক ছিলেন রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কার্লভ। একপর্যায়ে তিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে দাঁড়ান। এসময় হঠাৎ পেছন থেকে গুলি করে তাকে এক অস্ত্রধারী। কার্লভ লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। বিবিসির খবরে বলা হয়, এসময় আততায়ী তুর্কি ভাষায় চিৎকার করে বলে ওঠে- আলেপ্পোর কথা মনে রেখ, সিরিয়ার কথা মনে রেখ।
হন্তারক তুর্কি পুলিশের একজন সদস্য বলে জানিয়েছেন আঙ্কারার মেয়র।
এসময় ওই আততায়ী পুলিশকে ‘আলেপ্পো’ এবং ‘প্রতিশোধ’ শব্দগুলিও উচ্চারণ করতে শোনা যায়। এ ঘটনায় আহত হয় অপর তিন ব্যক্তি।
আহত রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটলো যখন প্রতিবেশী সিরিয়ার সংঘাত অবসানে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তুরস্কের রাজধানী আংকারার একটি গ্যালারিতে ওই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত সাংবাদিক ও অন্যান্য অতিথিদের সামনেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। টেলিভিশনে প্রচারিত ঘটনার সময়কার ফুটেজে দেখা যায়, স্যুট-টাই পরিহিত এক ব্যক্তি অস্ত্র উঁচিয়ে কথা বলছে ওই প্রদর্শনী হলে। স্থানীয় পত্রিকা হুররিয়াতে প্রকাশিত চবিতে দেখা যায় গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছে আর অপর একজন হাতে পিস্তল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মস্কো এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছে।
রাষ্ট্রদূতকে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যের পরিণতির ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে তুর্কি পুলিশের পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছে, তাকে নির্বৃত্ত করা হয়েছে। তবে টুইটারে প্রচারিত ছবিতে ওই অস্ত্রধারীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলেও জানায় কেউ কেউ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা এই সহিংসতার নিন্দা জানাই। আর যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বরিস জনসন একে ‘কাপুরুষোচিত’ কাজ হিসেবে বর্ণনা করে নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে তুরস্কে গত রবিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর একদিন পরই দেশটিতে দায়িত্বপালনরত রুশ রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করা হলো। বর্তমান সময়ে তুরস্ক ও রাশিয়া একত্রে কাজ করছে সিরিয়ার যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরী থেকে অবরুদ্ধ নাগরিকদের সরিয়ে নিতে। যদিও সিরিয়ায় চলমান সংঘাতে তুরস্ক আর রাশিয়া পরস্পর বিরোধী দুটি পক্ষকে সমর্থন ও সহায়তা করে যাচ্ছে। তুরস্ক পক্ষ নিয়েছে বিদ্রোহীদের আর রাশিয়া দাঁড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে।
স্নায়ুযুদ্ধকাল অবসানের পর থেকে গত বছরে রুশ-তুরস্ক সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে যখন সিরয়ার আকাশে একটি রুশ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করে তুরস্কের একটি জেটবিমান। পরে রুশ চাপের মুখে তুর্কি রাষ্ট্রনায়ক এরদোয়ান ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এএফপি, বিবিসি
নিউজওয়ান২৪.কম/একে
- পাকিস্তানি পরমাণু হামলা ঠেকাতে পারবে না ভারত: রুশ বিশেষজ্ঞ
- ইমরান খানের স্ত্রী শুকরের মাংস পাকান!
- কুয়েতে সীমিত আকারে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমোদন
- অভিযানে পিস্তল জ্যাম, দারোগা মুখে বললেন ‘ঠা ঠা’! (ভিডিও)
- ‘বিশেষ অঙ্গ’ বড় হওয়ায় আদালতে প্রেমিকার অভিযোগ!
- কে হবে শ্রেষ্ঠ ‘গাই সুন্দরী’!
- থাই-উপসাগরের তলায় শুয়ে আছে ফ্লাইটএমএইচ৩৭০!
- এবার সৌদিতে প্রকাশ্যে নারী নিগ্রহ
- যে তিন কারণে `মনহুশ` রাহুল!
- ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ছাত্র
- নেপালে পাহাড়ি এলাকায় কলেজবাস খাদে, নিহত ২১
- ‘সিমেন্টের ব্যাগ’-এ বিয়ের পোশাক!
- শান্তিমিশনে যৌন হয়রানি: ২ ভারতীয় সেনার শাস্তি
- মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে!
- পাপোষে হিন্দু দেবদেবী ও কোরানের ছবি: বিতর্কে অ্যামাজন