রুশ প্লেনে আগুনে নিহত ৪১, জীবিত উদ্ধার ৩৭

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর সেরেমেতেভো বিমানবন্দরে রবিবার জরুরি অবতরণের সময় রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা অ্যারোফ্লতের যাত্রীবাহী একটি ফ্লাইটে আগুন লেগে শিশুসহ অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। এর বাইরে আহত ছয়জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

গতকাল রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, অগ্নিকবলিত প্লেনটি থেকে নেমে যাত্রীরা জরুরি নির্গমণ পথে দৌড়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, এই উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় মারমানস্কের দিকে রওনা করা ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও প্রথম দফায় সফল হয়নি।

উড়োজাহাজটিতে থাকা মোট ৭৮ যাত্রীর মধ্যে ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতোমধ্যে মর্মান্তিক এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি সুখোই সুপারজেট-১০০ মডেলের প্লেনটি সেরেমেতেভো বিমানবন্দরে থেকে মুরমানস্ক শহরের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল। কিন্তু উড্ডয়নের পর ৩০ মিনিটের মধ্যেই কারিগরি ত্রুটির কবলে পড়ে সতর্ক বার্তা জারি করে জরুরি অবতরণ করার সময় এটি দুর্ঘটনা ঘটায়।

রুশ সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানায়, প্লেনটি মস্কো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করার আগেই মধ্য আকাশে থাকার সময় আগুন লেগে যায়। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভেরোনিকা স্কভোরটোশোভা জানিয়েছেন, ছয়জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলন, এমন দুর্ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পাওয়াটা ‘আশ্চর্য’ ঘটনা। আগুনে উড়োজাহাজটির পেছনের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে এতো বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কীভাবে ঘটলো কিংবা পাইলট কেনো প্লেনটি জরুরি অবতরণ করতে চেয়েছিলেন তা এখনো জানা যায়নি।

এদিকে, রাশিয়ার জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থা অ্যারোফ্লত বলছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের জন্য বিমানবন্দরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। তবে এর বেশি কিছু সংবাদ মাধ্যমকে তারা জানায়নি।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে