ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫
সর্বশেষ:

ভারতের স্করপিয়ন সাবমেরিনের গোপন ডেটা ফাঁস!

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২২, ২৪ আগস্ট ২০১৬   আপডেট: ১৬:৪৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভারতীয় নৌবাহিনীর উন্নতমানের স্করপিয়ন সাবমেরিনের ভেতরকার নকশা সংক্রান্ত গোপনীয় ডেটা ফাঁস হয়ে গেছে। এটা ভারত, চিলি ও মালয়েশিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সেবাদাতা ফরাসি প্রতিষ্ঠান ডিসিএনএস বেশ বেকায়দায় পড়েছে। বুধবার অস্ট্রেলীয় মিডিয়া জানায়, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন স্করপিয়ন শ্রেণির ওই সাবমেরিনের ডিজাইন করা হয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য। কিন্তু জানা গেছে, ওই সাবমেরিনের কয়েকটি অংশের অনুরূপ অংশ সংযোজিত হতে চলেছে মালয়েশিয়া এবং চিলির নৌবাহিনীর সাবমেরিনেও। ২০১৮ সালে একই ধরনের সাবমেরিন ব্রাজিলেরও পাওয়ার কথা রয়েছে।

এই তোলপাড় জাগানো সাবমেরিন-গোপনীয়তা ফাঁস বিষয়ে বুধবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকর জানান, যদি তথ্য ফাঁসের ঘটনায় আমাদের নিজেদের কেউ জড়িত থাকে তবে তা আগে চিহ্নিত করতে হবে। তবে পুরো শতভাগ তথ্য লিক হয়নি। গভীর রাতে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। এটা হ্যাকিংয়ের মামলা।

উল্লেখ্য, পরবর্তী প্রজন্মের উন্নত মানের সাবমেরিন ডিজাইন ও নির্মানে অস্ট্রেলিয়া গত বছরের এপিলে ডিসিএনএসের সঙ্গে ৫০ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারের চুক্তি করেছে। তবে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এই তথ্যফাঁসের ঘটনায় বিচলিত নন। ক্যানবেরায় দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই লিকের ঘটনা দুশ্চিন্তার বিষয় বটে তবে অস্ট্রেলিয়া স্কয়রপিনের যে মডেল কিনছে- তা সম্পূর্ণ আলাদা এক জিনিস। তিনি বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া মিলে যে সাবমেরিন তৈরি করছে তার নাম ব্যারাকুডা যা স্করপিয়ন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা কিসিমের।

নবভারত টাইমস জানায়, ভারতীয় নেভিতে সংযোজিত হতে যাওয়া নয়া সাবমেরিন স্করপিয়ন চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষামূলক চালনার জন্য সমুদ্রে নামানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই আগামী দুই দশকের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে স্করপিয়ন। এর যুদ্ধক্ষমতা অসাধারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, ডিসিএনএস ইঙ্গিত করেছে ওই তথ্য ভারত থেকেই ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এতে তাদের গ্রহিকের স্বার্থ এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। জানা গেছে, ফ্রান্স এ সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্যাদি ২০১১ সালে ডিলিট করে ফেলে। কয়েক হাজার পৃষ্ঠার ওই তথ্যগুলো প্রথমে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি স্থানে আসে এরপর সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএল

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত