ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৬, মিললো আট জনের পরিচয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১২ নভেম্বর ২০১৯  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা স্টেশনে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নীশিথা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতেদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন।

নিহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া আটজন হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাদের আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন, আনোয়ারপুরের মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ, হবিগঞ্জের বোল্লার ইয়াসিন, জাহিদা খাতুন, চুনারুঘাটের পীরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান, তার স্ত্রী কুলসুম এবং শিশু আদিবা।

এর আগে, সোমবার রাত ৩টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে ঢুকছিল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগনাল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগনাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।  

তিনি আরো জানান, এরইমধ্যে লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করতে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে আসছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট-ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি হায়াত-উদ-দৌলা খান ও এসপি মো. আনিসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে ডিসি হায়াত উদ-দৌলা খান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তুর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট-ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ঘটনাস্থলে, সদর হাসপাতালে দুইজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যমল কান্তি দাস জানান, দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

আরও পড়ুন
স্বদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত