ঢাকা, ২৮ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

বিদেশে চাকরির নামে অপহরণ থেকে বাঁচলেন ৮ জন

প্রকাশিত: ১২:০২, ৩১ মার্চ ২০১৯  

বিশেষ অভিযানে উদ্ধার ৮ জন    ছবি: সিআইডি

বিশেষ অভিযানে উদ্ধার ৮ জন ছবি: সিআইডি

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সিআইডি’র মানব পাচার প্রতিরোধ স্কোয়াডের একটি টিম রাজধানীর দক্ষিন খান এলাকার  নোয়াখালী গেস্ট হাউজ ইন্টা. (আবাসিক) থেকে লিবিয়াতে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়োকৃত ৮ (আট) জন ভিকটিম উদ্ধার করেছে। 
ঠাকুরগাঁও ও রংপুর জেলাবাসী এই ব্যক্তিদের লিবিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে এখানে আনা হয়েছিল। এরা হলেন-

১। সাইফুল ইসলাম (৪০), ২। মজুরুল আলম ওরফে মনজুরুল (৩১), ৩। মুক্তার হোসেন (২২), ৪। রাসেল প্রধান (২২), ৫।  মতিউর রহমান (২৬), ৬। শফিকুল ইসলাম (২৮), ৭। শ্রী সুনীল চন্দ্র বর্মন (৪৫) ও ৮। ভীষ্মদেব (৩৫)। তাদেরকে একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র দুবাই হয়ে লিবিয়া পাচার করার উদ্দেশ্যে রংপুর বিভাগের ওই দুই জেলা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে। তাদেরকে আশকোনা হাজি ক্যাম্পের পূর্ব পার্শের বাসা নং-৫৫২ এর নোয়াখালী গেস্ট হাউজে রাখা হয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমরা জানান, প্রায় ৬ মাস পূর্বে দালালরা তাদেরকে ফিজিতে পাঠানোর প্রস্তাব করে। কিন্তু অনেকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফিজিতে পাঠাতে না পারায় দালালেরা তাদেরকে অবৈধ পন্থায় লিবিয়া পাঠানোর প্রস্তাব করে। ভিকটিমরা আরো জানান, তাদেরকে লিবিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা অন্য কারো নিকট প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। এ বাবদে ভিকটিমদের প্রত্যেকের নিকট হতে পাচারকারী চক্র ৩৪,০০০/- টাকা নেয় এবং প্রত্যেককে আরো ৪,৫০,০০০/- টাকা করে লিবিয়া পৌঁছানোর পর দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। 

সিআইডি’র মানব পাচার স্কোয়াড দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মামলার সূত্রে জানতে পারে যে, মূলতঃ নিরীহ লোকজনকে অল্প টাকার বিনিময়ে প্রথমে দুবাই, সুদান বা অন্য কোনো দেশের মাধ্যমে লিবিয়া নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর পুরো গ্রুপকে পাচারকারী চক্র অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। সেই নির্যাতনের ছবি ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনকে মোবাইলে ইমো, হোয়াটস্ অ্যাপ, ভাইবারে কল করে দেখিয়ে এবং তাদেরকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় আত্মীয়-স্বজনের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে হাতিয়ে নেয়া হয়। 

মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পরও দেখা যায় অপহরণকারীদের নির্যাতনে কেউ মারা যায়, কেউ আবার ছাড়া পেয়ে পুলিশ কর্তৃক আটক হয়। উদ্ধারকৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জড়িত চক্রটিকে চিহ্নিতকরণ, গ্রেফতারসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

সিআিইডি সূত্র জানায়, শাহ আলম, ডিআইজি, স্পেশাল ক্রাইম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স, বেলাল উদ্দিন, বিশেষ পুলিশ সুপার, অর্গানাইজড ক্রাইম (টিএইচবি), বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি, ঢাকা’দ্বয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মো. আবু যাহিদ, পুলিশ পরিদর্শক মুন্সী আছাদুল্লাহ, এসআই রাশেদ ফজল,এসআই রফিকুল ইসলাম এবং কনস্টেবল মনসুর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম তাদের উদ্ধার করে।

নিউজওয়ান২৪.কম/এইচএম

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত